সেচের অভাবে ফলন্ত ৩শ’ আমগাছ মরার উপক্রম
প্রকাশিত : ২৩:১৪, ৮ এপ্রিল ২০২০
নওগাঁর নিয়ামতপুরে গভির নলকুপ থেকে পানি সেচ বন্ধ করে দেওয়ায় উপজেলার হাজিনগর গ্রামের আম চাষী নজরুল ইসলামের একটি বাগানের প্রায় ৩শ’টি আম গাছ পানির অভাবে মারা যেতে শুরু করেছে। ২/১ দিনের মধ্যে ওইসব গাছে পানি দেওয়া না গেলে পুরো বাগানের গাছ খড়ি হয়ে যাবে বলে স্থানীয়রা আশঙ্কা করছে। ইতিমধ্যে আম গাছ গুলোয় বিভিন্ন জাতের আমের গুটি হয়েছে। এতে করে ওই চাষির ৬ থেকে ৭ লাখ টাকার ক্ষতি হবে বলে তিনি দাবি করেছেন।
জানা গেছে, হাজিনগর গ্রামের আমচাষি নজরুল ইসলাম গ্রামের পাশে শাংগৈইল খালের ধারে ৩শ টি নানা জাতের গাছ লাগিয়ে আম বাগান তৈরী করে গত ৫ বছর ধরে আম চাষ করে আসছেন। প্রতি বছরেই এই সময় অর্থাৎ আমের মুকুল আসার সময় খালের পানি শুকিয়ে গেলে আম গাছে সেচের প্রয়োজন হয়। তখন পাশের বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের গভীর নলকূপ থেকে সেচ দিয়ে আম গাছ ও আমের মুকুল রক্ষা করে আসতেন ওই চাষি। কিন্তু এবারে গভীর নূলকূপের অপারেটর বদিউজ্জামান সেন্টু বিভিন্ন টাল বাহানায় গভীর নূলকূপ থেকে পানি না দেওয়ায় ৩টি আম গাছ হুমকির মুখে পড়েছে। মুকুল থেকে আম ফুটতে শুরু করেছে কিন্তু পানির অভাবে তা নষ্ট হতে বসেছে। অনেক আম গাছ মরে গেছে। আর কিছুদিন গেলে সব আম গাছ মরে যেতে পারে।
আম বাগানের মালিক নজরুল ইসলাম বলেন, অনেক কষ্টে আম গাছগুলো আমি বড় করেছি। প্রতি বছর এই আম গাছ থেকে আয় করে আমার সংসার চলে। প্রতি বছর এই সময় আম গাছে সেচের প্রয়োজন হলে গভীর নলকুপ থেকে পানি নিয়ে বাগানে সেচ দেই। কিন্ত এবার পানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে অপারেটর বদিউজ্জামান সেন্টু। আজ দিবো, কাল দিবো করে প্রায় ২০দিন যাবত আমাকে ঘুরাচ্ছে। এতে বেশ কিছু আম গাছ মরে গেছে। বাঁকী গাছগুলো মরার উপক্রম হয়েছে। মুকুল হতে গুটি হওয়া আম গুলোও নষ্ট হতে চলেছে।
অপারেটর বদিউজ্জামান সেন্টু বলেন তার সাথে কোন নিরোধ নেই। তিনি সেচের টাকা না দেওয়ার জন্য আপাতত পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
এ বিষয়ে বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ নিয়ামতপুর উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী মতিউর রহমান বলেন এধরনের কোন অভিযোগ এখনো পাইনি। তবে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে
আরকে//
আরও পড়ুন