শেরপুরে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে হুইপের মতবিনিময়
প্রকাশিত : ১৮:৩১, ১২ এপ্রিল ২০২০
বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস সংক্রমণ (কোভিড-১৯) প্রতিরোধ এবং সংক্রমণ ব্যাধি থেকে উত্তরণের লক্ষে শেখ হাসিনা সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আতিউর রহমান আতিক গত ২৪ মার্চ থেকে অদ্যবধি সদর উপজেলার ৫৩টি পয়েন্টে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে এবং শেরপুর পৌরসভার ১২টি পয়েন্টে মানুষের মাঝে আরো জনসচেতনা সৃষ্টির লক্ষে প্রচার-প্রচারণা করেছেন।
এরই ধারাবাহিকতায় ১১ এপ্রিল শনিবার দুপুরে শেরপুর জেলা শহরের চকবাজার জেলা আওয়ামীলীগ দলীয় কার্যালয়ে হুইপ মোঃ আতিউর রহমান আতিক করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি মোকাবেলায় এক মতবিনিময় আহ্বান করেন।
এসময় হুইপ আতিক এমপি উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, এমন উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শেরপুরের মানুষ ভয় না পেয়ে সচেতন হয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে পারলেই এ সংক্রমণ ব্যাধির হাত থেকে রক্ষা পাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। সারাদেশের করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন এবং জনগণকে সাহসের সাথে মোকাবেলা করার জন্য তিনি বলেছেন। এছাড়াও প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে হুইপ আতিক শেরপুরের নি¤œ আয়ের মানুষ ও শ্রমিকদের পাশে দাঁড়াতেই খাদ্য সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি শেরপুর জেলা আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দরা খাদ্য সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত আছে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।
এদিকে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে হুইপ আতিক বলেন, দেশে খাদ্য সংকট নেই এবং দেশে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ আছে। করোনায় আক্রান্তদের জন্য জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলায় ৯২ জন চিকিৎসক ও ১৩৯ জন নার্স প্রস্তুত রয়েছে এবং পিপিই ১৮২৮ মজুত রয়েছে। এছাড়াও শেরপুর জেলায় করোনা ও হোম কোয়ারেন্টাইন বিষেয় বলেন ১৪৯ জন হোম কোয়ান্টোইন থেকে ১৪৮ জন স্বাস্থ্য সনদ নিয়ে বাড়ী ফিরেছেন এবং ১ জন কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে আইসোলেশনে রয়েছেন ৫ জন।
এসময় খাদ্য সহায়তা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের ৭ হাজার ৫৪৮ জনকে খাদ্য সামগ্রী দেয়া হয়েছে। এছাড়াও খাদ্য বান্ধব কর্মসূচিতে ২২ হাজার ২২৭ জনকে ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ অব্যাহত আছে এবং ওএমএস কার্যক্রমের আওতায় ১৮ মেট্রিকটন চাল সপ্তাহে ৩দিন প্রতিজনকে ৫ কেজি এবং সাড়ে ৭ মেট্রিকটন আটা প্রতিজনকে ৫ কেজি করে দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও ১৩ হাজার ৬৭৫ জন বয়স্ক ভাতা, ৫ হাজার ২১৫ জন বিধবা ভাতা ও ৪ হাজার ১২৫ জন প্রতিবন্ধীদের মাঝে এসব ভাতা বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলন শেষে সাবেক কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী ও শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী শেরপুর ৩ সানের সংসদ সদস্য প্রকৌশলী আলহাজ্ব একেএম ফজলুল হক চাঁন এমপি করোনা পরিস্থিতিতে তাদের নির্বাচনী এলাকায় অনুপস্থিত না থাকার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে হুইপ আতিক এমপি বলেন এমন পরিস্থিতি ও দুর্যোগ মুহুর্তে জনগণের পাশে থাকার জন্য তাদের আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে এসময় অন্যান্যদের মধ্যে শেরপুর জেলা আওয়ামীলীগ দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপ-দপ্তর সম্পাদক বিনয় কুমার সাহাসহ জেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
আরকে//
আরও পড়ুন