রাজশাহীতে নতুন ১০০ জন কোয়ারেন্টিনে
প্রকাশিত : ১৫:২৬, ১৪ এপ্রিল ২০২০
ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে রাজশাহীতে আসা ৪৯ জনসহ ১০০ জনকে কোয়ারেন্টিনে নেয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার সকাল থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় তাদের কোয়ারেন্টিনে নেয়া হয়। যাদের মধ্যে স্থানীয় রয়েছেন ৩৮ জন। যারা ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে আসাদের সংস্পর্শে গিয়েছিলেন।
রাজশাহী সিভিল সার্জন ডা. এনামুল হক বলেন, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে যারা রাজশাহীতে এসেছে তাদের খুঁজে বের করা হচ্ছে। পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্মীরা তাদের খুঁজে বের করার পাশাপাশি তাদের সংস্পর্শে যারা গেছেন তাদেরও চিহ্নিত করা হচ্ছে। এর পর তাদের কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
সিভিল সার্জন বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১০০ জনকে কোয়ারেন্টিনে নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা থেকে এসেছেন ৩২ জন, নারায়ণগঞ্জ থেকে ১৭ জন। তাদের সংস্পর্শে যাওয়ায় ৩৮ জনকেও কোয়ারেন্টিনে নেয়া হয়েছে। এছাড়াও মাদারীপুর থেকে ছয়জন, দিনাজপুর থেকে দুইজন, ফরিদপুর থেকে একজন ও নওগাঁ থেকে আসা তিনজনকে কোয়ারেন্টিনে নেয়া হয়েছে। নতুন কোয়ারেন্টিনে নেয়াদের মধ্যে রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৪ জন, বাঘায় চারজন, পুঠিয়ায় ৩৯ জন, তানোরে ৪৩ জন রয়েছেন।
সিভিল সার্জন দপ্তর থেকে জানানো হয়, গত ১ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত ১২৬৮ জনকে কোয়ারেন্টিনে নেয়া হয়। এর মধ্যে ১০৭৩ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন ১৯৫ জন। এদের মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় কোয়ারেন্টিনে আনা হয়েছে ১০০ জনকে।
রাজশাহীর সিভির সার্জন ডা. এনামুল হক বলেন, সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে যারা রাজশাহী এসেছেন তাদের খুঁজে বের করা হচ্ছে। বিশেষ করে ঢাকা, নারায়নগঞ্জ ও গাজীপুর থেকে যারা এসেছেন তাদের ব্যাপারে বেশী গুরত্ব দেয়া হচ্ছে। তাদের খুঁজে বের করে কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা না হলে এ জেলাতেও করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। এ জন্য তারা যেন পুলিশ বা স্বাস্থ্য কর্মীদের জানিয়ে স্বেচ্ছায় কোয়ারেন্টিনে চলে যান। ঢাকা, নারায়নগঞ্জ ও গাজীপুর এলাকা থেকে আগতদের প্রতিবেশীদেরও সতর্ক থাকার আহবান জানিয়ে তাদের সম্পর্কে তথ্য দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
গত দুইদিনে রাজশাহীর বাগমারা ও পুঠিয়া উপজেলায় দুইজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগি শনাক্ত হয়েছে। তারা দুইজনই ঢাকা ও নারায়নগঞ্জ থেকে এসেছেন। এ জন্য বাহির থেকে কেউ যে রাজশাহী প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য কড়াকড়ি আরও বাড়ানো হয়েছে। পুলিশ রাত জেগে পাহারা দিচ্ছে মহাসড়কসহ রাজশাহীর সকল প্রবেশ পথ। এছাড়াও পরিবর্তি নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত রাজশাহীকে লকডাউন ঘোষণা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
এমবি//
আরও পড়ুন