একুশের জন্মদিনে মৌলভীবাজারে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ
প্রকাশিত : ১২:২৮, ১৫ এপ্রিল ২০২০
নিশ্চয় কেটে যাবে এ করোনা কাল, আবার আসবে নতুন সকাল.. এই প্রত্যাশায় মৌলভীবাজারে একুশে পরিবার ব্যতিক্রমী উদ্যোগে পালন করেছে একুশের একুশতম জন্মদিন।
বিশ্বব্যাপী করোনার ভয়াল থাবায় যখন মানুষ ঘরবন্দি। দুশ্চিন্তা গ্রস্থ। এ থেকে বাঁচতে ও তাদের মনে স্বস্তির বার্তা দিতে একুশের মৌলভীবাজার পরিবার তৃণমূলের মানুষকে সরকারের দেয়া স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার পরামর্শ প্রদান এবং ঘরে ঘরে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা ও ঔষধ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। এ সময় একুশে পরিবারের পক্ষ থেকে বেশ কিছু প্রান্থিক জনগোষ্ঠীকে খাদ্য সহায়তাও করা হয়।
একুশের আহ্বানে ঘরে ঘরে সচেতনতা তৈরিতে এগিয়ে আসেন র্যাব-৯ শ্রীমঙ্গল ক্যাম্প কমান্ডার মো: আনোয়ার হোসেন শামীম। আর মঙ্গলবার দিন ব্যাপী স্বাস্থ্য সেবা ও ঔষধ বিতরণে অংশ নেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগের প্রাক্তন পরিচালক ও শ্রীমঙ্গল বিএমএ এর সভাপতি ডা: হরিপদ রায়। এ কার্যক্রমে আরো উপস্থিত ছিলেন একুশে টেলিভিশনের মৌলভীবাজার প্রতিনিধি বিকুল চক্রবর্তী ও একুশে মৌলভীবাজার পরিবারের সদস্য বিষ্ণুপদ ধর।
এছাড়াও পৃথক পৃথক সময়ে আরো উপস্থিত ছিলেন একুশে মৌলভীবাজার পরিবারের সদস্য শিক্ষক সমিতির সভাপতি জহর তরফদার, বিধান চক্রবর্তী, প্রদীপ মালাকার, সব্যসাচি পুরকায়েস্থ, বর্ণ চক্রবর্তী, কাউছার আহমদ রিয়ন ও কে এস এম আরিফুর রহমান।
এ সময় ডা: হরিপদ রায় বলেন, এই সময়ে গ্রামের অনেক কৃষিজীবী মানুষ রোদ বৃষ্টিতে কাজ করেন। অনেক সময় তাদের জ্বর আসতে পারে। তাই জ্বরের প্রাথমিক লক্ষণ দেখা দিলে তারা যাতে দুশ্চিন্তাগস্থ না হয়ে ঘরে বসেই চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পারেন তাই রোগের লক্ষণসহ চিকিৎসা পত্র ও ঔষধ প্রদান করেছেন। সাধারণ জ্বর হলে ৪/৫ দিনের মধ্যেই তা কমে যাবে। এই ঔষধ সেবনের সপ্তাহ অতিক্রম করার পরও জ্বর না কমলে তখন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে হবে।
একই সাথে র্যাব-৯ শ্রীমঙ্গল ক্যাম্প এর অধিনায়ক ঘরে ঘরে গিয়ে তৃণমূলের মানুষদের অনুরোধ করেন কেউ যেন এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়িতে না যান। বাজারে গিয়ে আড্ডা না দেন। একক ভাবে নিজের বাড়ির পাশে টুকটাক কৃষি কাজ ছাড়া সরকারের পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত যেন সবাই ঘরে থাকেন। এ সময় তিনি এই করোনা যুদ্ধে ডাক্তার, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে গণমাধ্যম কর্মীরাও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন বলে জানান। এ জন্য একুশের জন্মদিনে দেশের গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতিও কৃজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, একুশ মানে সাধারণের বাহিরে ভিন্ন কিছু। একুশে টেলিভিশন মানুষের জন্য সবসময় ব্যতিক্রমী কিছু করে। আজকের এ করোনা কালে মানুষের পাশে দাঁড়ানোও তার অংশ।
বিনামুল্যে ঔষধ বিতরণ, স্বাস্থ্য সেবা, করোনা সচেতনতার পাশাপশি একুশে মৌলভীবাজার পরিবার বেশ কিছু মানুষকে চাল, ডাল, তেল, লবন, আলু, পেয়াজসহ নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সহায়তাও করে।
এমবি//
আরও পড়ুন