চুয়াডাঙ্গার দুই ডিলারের নিবন্ধন বাতিল, জামানত বাজেয়াপ্ত
প্রকাশিত : ১৬:১৩, ১৫ এপ্রিল ২০২০
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রয়ে (ওএমএস) অনিয়মের ঘটনায় অভিযুক্ত ২ ডিলারের নিবন্ধন বাতিল ও জামানতের টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
মঙ্গলবার বিকাল দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের জরুরি সভায় ২ সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম মুনিম লিংকন এ ব্যবস্থা গ্রহন করেন। এছাড়া জব্দকৃত ৬৫ বস্তা চাল অন্য ডিলারে কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, গত বুধবার (০৮ এপ্রিল) রাতের আধারে দামুড়হুদার লোকনাথপুর গ্রামের একটি গোডাউন থেকে ১০ টাকা কেজি দরের সরকারি ২৯ বস্তা চাল বাস্তপুর গোডাউনে নেয়ার চেষ্টা করে। এসময় স্থানীয় জনতার সন্দেহের সৃষ্টি হলে ঘটনাস্থলে থাকা ইউপি সদস্য রিকাত আলীকে আটক করে স্থানীয়রা। পরে বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হলে দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছায়। পরে অভিযান চালিয়ে রঘুনাথপুরের চালের ডিলার গিয়াস উদ্দিন ডেলিসের বাস্তপুর গোডাউনে থাকা ৬৫ বস্তা চাল জব্দ করে ও লোকনাথপুরের আব্দুর ছাত্তারের মাষ্টারোলের খাতা জব্দ করা হয়।
বৃহস্পতিবার এ ঘটনা তদন্তের জন্য দামুড়হুদা উপজেলা উদ্ভিদ সংনিরোধ অফিসার অভিজিত কুমার কে আহ্বায়ক ও উপজেলা পি আইও আশরাফ আলী কে সদস্য করে দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে হয়। সোমবার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিলে মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা পরিষদের জরুরি সভার অনুষ্ঠিত হয়। সভায় তদন্ত পর্যাচলা করে সরকারি চাল পাচারের অভিযুক্তের দায়ে ২ জন চালের ডিলার কে বিতরণ নিবন্ধন বাতিল ও জামানতের ২ জনের নগদ ৪০ হাজার টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম মুনিম লিংকন জানান, গত বুধবার রাতে গুদামজাত করে রাখা অতিরিক্ত বস্তার চাল জব্দ করা হয়। এরপর তদন্ত কমিটি গঠন করা হলে তদন্ত প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে তাদের চাল বিতরণ কার্যক্রমে অনিয়ম প্রমাণিত হয়। তাই তাদের দুইজনের ওএমএস বিতরণ নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে জামানতের অর্থ।
এমবি//
আরও পড়ুন