রাজশাহীতে আক্রান্ত তিনজনের ২জন বিপদমুক্ত
প্রকাশিত : ২০:২৪, ১৬ এপ্রিল ২০২০
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
রাজশাহীতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত তিনজন রোগীর মধ্যে দুইজন বিপদমুক্ত বলে জানিয়েছেন জেলার করোনা নির্ণয় ও চিকিৎসা কমিটির প্রধান ডা. আজিজুল হক আজাদ। তিনি বলেন, প্রথম আক্রান্ত রোগির আজ ১৩তম দিন। আর দ্বিতীয় রোগির ১০ম। তারা বর্তমানে বিপদমুক্ত। বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. আজাদ সাংবাদিকদের বলেন, সকালে তিনজনের সঙ্গে কথা বলেছি। নিজ নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে তাদের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। সবাই ভাল আছে। তিনি আরও বলেন, তৃতীয় রোগির আজ পঞ্চম দিন। তার সঙ্গে দিনে দুইবার কথা হচ্ছে। তিনি একজন নারী। সেটি মাথায় রেখে তার চিকিৎসাপত্র ও ঔষধ দেয়া হয়েছে। তিনি নিয়মিত ঔষধ খাচ্ছেন। আরও কয়েকদিন যাওয়ার পর তার অবস্থা বোঝা যাবে। তবে আশা করছি তিনিও সেরে উঠবেন।
ডা. আজাদ বলেন, করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে বর্তমানে রামেক হাসপাতালে দুইজন রোগী ভর্তি রয়েছেন। এছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় যারা ভর্তি হয়েছেন তাদের সংক্রমক ব্যাধি হাসপাতালের আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে একজনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আগামীকাল আরেকজনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হবে। আগে যারা ভর্তি হয়েছিলেন তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
রাজশাহীতে এখন পর্যন্ত তিনজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে দুইজন পুঠিয়ার ও একজন বাগমারার। তাদের তিনজনের মধ্যে দুইজন নারায়ণগঞ্জ থেকে এবং একজন ঢাকা থেকে এসেছেন।
এদিকে, রাজশাহীতে ঢাকা ফেরত ৩০ জনসহ ৩২ জনকে কোয়ারেন্টিনে নেয়া হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় তাদের কোয়ারেন্টিনে নেয়া হয়। যাদের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ ফেরত একজন ও ভারত থেকে এসেছেন একজন। কোয়ারেন্টিনে নেয়া সবার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছেন রাজশাহী সিভিল সার্জন ডা. এনামুল হক।
তিনি বলেন, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে যারা রাজশাহীতে এসেছেন তাদের খুঁজে বের করা হচ্ছে। পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্মীরা তাদের খুঁজে বের করার পাশাপাশি তাদের সংস্পর্শে যারা গেছেন তাদেরও চিহ্নিত করে কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা হচ্ছে।
সিভিল সার্জন বলেন, নতুন কোয়ারেন্টিনে নেয়াদের মধ্যে রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকায় ১০ জন, তানোরে ১০ জন, বাঘায় ১২ জন।
জেলা সিভিল সার্জন দপ্তর থেকে জানানো হয়, গত ১ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত এক হাজার ৩৫৭ জনকে কোয়ারেন্টিনে নেয়া হয়। এর মধ্যে এক হাজার ১০৯ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। বর্তমানে কায়ারেন্টিনে রয়েছেন ২৪৮ জন।
এনএস/
আরও পড়ুন