৪ বছর ধরে ইউপি সদস্যের চাল আত্মসাৎ, অতঃপর..
প্রকাশিত : ২০:১৫, ১৮ এপ্রিল ২০২০

চাল আত্মসাতের দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত দুই ইউপি মেম্বার ও ডিলার
নড়াইলে গত ৪ বছর ধরে চার হতদরিদ্রের ১০ টাকা কেজি দরের চাল আত্মসাৎ করে আসছিলেন এক ইউপি সদস্য। অবশেষে ধরা পড়লেন তিনি। চাল আত্মসাতের দায়ে সদর উপজেলার মাইজপাড়া ইউনিয়নের মেম্বার সোহরাব হোসেন বিশ্বাসকে (৪৫) তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শনিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে এ আদেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কৃষ্ণা রায়।এছাড়া মাইজপাড়া ইউনিয়নের ডিলার পিয়ারী খাতুনকে (৪১) ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৭ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। অবশ্য জরিমানার টাকা তাৎক্ষণিক পরিশোধ করেন পিয়ারী খাতুন।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার) বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হতদরিদ্রদের চাল আত্মসাতের অভিযোগে ইউপি মেম্বার সোহরাব হোসেন বিশ্বাস ও ডিলার পিয়ারী খাতুনকে আটক করে পুলিশ। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের কারাদণ্ড ও জরিমানা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, হতদরিদ্রদের জন্য প্রতিমাসে বরাদ্দকৃত ১০ টাকা কেজি দরের ৩০ কেজি চাল চারজন উপকারভোগীকে না দিয়ে গত চার বছর ধরে মোট ৫ হাজার ৭৬০ কেজি চাল আত্মসাৎ করেন মাইজপাড়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার সোহরাব হোসেন বিশ্বাস। এ ঘটনায় ইউনিয়নের হতদরিদ্র চাল বিতরণের ডিলার পিয়ারী খাতুন যাচাই-বাছাই না করে মেম্বারকে সহযোগিতা করেন। এ অপরাধে তাদের কারাদণ্ড ও জরিমানা করা হয়।
এদিকে, গত ১৩ এপ্রিল দুপুরে মাইজপাড়ার পাশের শাহাবাদ ইউনিয়নের হতদরিদ্র চাল ডিলার আওয়ামী লীগ নেতা আসাদুজ্জামান মোল্যাকে (৫৫) গ্রেফতার করে পুলিশ।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, আসাদুজ্জামান ১০টাকা কেজি দরের চাল ৩০ কেজির পরিবর্তে ২৫ কেজি দিয়ে জনপ্রতি পাঁচ কেজি করে আত্মসাৎ করেন। এ অপরাধে তাকে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ২০ দিনের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া আসাদুজ্জামানের ডিলারশিপ বাতিল করা হয়।
আসাদুজ্জামান সদর উপজেলার চাঁনপুর গ্রামের আলী আহাম্মদের ছেলে এবং শাহাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। অবশ্য পরে তাকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
এনএস/
আরও পড়ুন