নড়াইলের নদীতে টিসিবি’র তেলের খালি বোতল!
প্রকাশিত : ১১:২৬, ২০ এপ্রিল ২০২০
উদ্ধারকৃত টিসিবি’র সিলযুক্ত খালি বোতল- একুশে টেলিভিশন
নড়াইল শহরের বাণিজ্যিক কেন্দ্র রূপগঞ্জ এলাকায় চিত্রা নদীতে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ বা টিসিবি’র সায়াবিন তেলের শতাধিক খালি বোতল পাওয়া গেছে। গত শনিবার সন্ধ্যায় নদীতে এসব বোতল ভাসতে দেখে মাঝিরা তা নৌকায় সংগ্রহ করেন। রোববার বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে। তবে কে বা কার এ বোতলগুলো খালি করে নদীতে ফেলে দিয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
স্থানীয় রূপগঞ্জ-পংকবিলা খেয়াঘাটের কয়েকজন মাঝি জানান, টিসিবির সিলযুক্ত সায়াবিন তেলেরে খালি বোতলগুলো গত শনিবার সন্ধ্যার পর চিত্র নদীর রূপগঞ্জ এলাকায় ভাসতে দেখা যায়। এ অবস্থায় তারা বেশ কিছু খালি বোতল উদ্ধার করে নৌকায় উঠান। সবগুলো বোতলই দুই ও পাঁচ লিটারের।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নড়াইলের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) জাহিদ হাসান বলেন, ‘বিষয়টি জেলা প্রশাসনের নজরে এসেছে। তবে কে বা কারা এবং কোন এলাকা থেকে এ ধরণের কাজ করেছে তা এ মুহূর্তে শনাক্ত করা বেশ কঠিন। আমরা পর্যবেক্ষণ করছি।’
এদিকে নড়াইলের রূপগঞ্জে টিসিবির ডিলার পরিতোষ কুন্ডু (৬৫) সায়াবিন তেল অবৈধভাবে বিক্রি করার এ অপরাধে তাকেসহ গত ১৬ এপ্রিল দুপুরে ৫ জনকে আটক করে পুলিশ। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদেরকে ৭০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন। এ সময় চার দোকানির কাছ থেকে টিসিবির ৬৭ লিটার সায়াবিন তেল উদ্ধার করা হয়। পরিতোষ কুন্ডুর তাদের কাছে এ তেলা বিক্রি করেছিলেন। এ ঘটনায় তাকে পরিতোষ কুন্ডুকে ৬০ হাজার টাকা এবং খুচরা পর্যায়ের চার দোকানিকে আড়াই হাজার টাকা করে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। পরিতোষ কুন্ডু কারাগারে থাকায় তার ছেলে আকাশ কুন্ডু অর্থদণ্ডের টাকা পরিশোধ করেন।
এর আগে ১৪ এপ্রিল দুপুরে টিসিবির ১৮ বস্তা চিনি (প্রতি বস্তায় ৫০ কেজি) এবং ২৪ বস্তা ছোলা (প্রতি বস্তায় ২৫ কেজি) অবৈধভাবে বেচাকেনা ও মজুদ রাখার অভিযোগে ডিলার পরিতোষ কুন্ডুসহ এক দোকানিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে সায়াবিন তেল অবৈধভাবে বেচাকেনার ঘটনা ঘটে।
অন্যদিকে শনিবার রাত থেকে গতকাল রোববার সকাল পর্যন্ত পৃথক অভিযানে কালো বাজারে বিক্রি হওয়া ৮৭ লিটার টিসিবির তেল এবং ৫০ কেজি চিনিসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় কালিয়া থানায় পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে কালিয়া উপজেলার সাতবাড়িয়া বাজারের রুবেল ফরাজির দোকান থেকে ৮০ লিটার এবং পাটেশ্বরী বাজারের আকরামুল শেখের দোকান থেকে সাত লিটার টিসিবির সয়াবিন তেল উদ্ধারসহ রুবেল ও আকরামুলকে আটক করে পুলিশ।
এছাড়া কালিয়ার জামরিলডাঙ্গা বাজারের তৌহিদ ইসলামের দোকান থেকে ৫০ কেজি ওজনের এক বস্তা চিনি উদ্ধারসহ তৌহিদকে আটক করা হয়। এরপর টিসিবি পণ্য বিক্রেতা পেড়লি বাজারের সুভাষ সাহাকে আটক করে পুলিশ।
সহকারী পুলিশ সুপার (কালিয়া সার্কেল) রিপন চন্দ্র সরকার বলেন, ‘টিসিবি পণ্য কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগে চারজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় একজন পলাতক রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।’
এমএস/
আরও পড়ুন