ঢাকা, বুধবার   ০২ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

করোনায় আক্রান্ত জেনেও গোপন, ১০০ বাড়ি লকডাউন

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৫:৪৯, ২১ এপ্রিল ২০২০

Ekushey Television Ltd.

করোনায় আক্রান্ত জেনেও ঢাকা থেকে পালিয়ে নিজ বাড়ি চুয়াডাঙ্গায় এসেছেন এক ব্যক্তি। পরে জানাজানি হলে ওই বাড়িসহ পার্শ্ববর্তী ১০০টি বাড়ি লকডাউন করা হয়। 

আক্রান্ত ব্যক্তির নাম শহীদ উদ্দিন (৬৫)। তিনি সদর উপজেলার বেগমপুর গ্রামের মৃত আলী হোসেনে ছেলে। গত ১৮ এপ্রিল তিনি ঢাকা থেকে পালিয়ে নিজ বাড়িতে আসেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ। 

স্থানীয়দের অভিযোগ, ‘গোটা বিষয়টি আক্রান্ত ব্যক্তির পরিবার গোপন করেছে। গত দুই দিন ধরে ওই ব্যক্তি নিজ গ্রামে সাধারণ মানুষজনের সাথে অবাধে মেলামেশা ও চলাফেরা করেছেন। সোমবার সন্ধ্যায় বিষয়টি জানাজানি হলে জনরোষ এড়াতে আক্রান্ত ব্যক্তির ছেলে আত্মপক্ষ সমর্থন করে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে ক্ষমা চান।’

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলি হোসেন জানান, ‘চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর গ্রামের ওই ব্যক্তি বেশ কিছুদিন ধরে কিডনি রোগে আক্রান্ত। নিজ বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে পরিবারের সদস্যরা গত ৬ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়। পরিস্থিতির অবনতি হলে পরিবারের সদস্যরা ১৩ এপ্রিল ঢাকার কিডনি হাসপাতালে ভর্তি করান।’

সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান জানান, ‘বিষয়টি জানাজানি হলে সোমবার গভীর রাতে তার বাড়িসহ গ্রামের ১০০ বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।’

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. শামীম কবির সাংবাদিকদের জানান, ‘শহিদ উদ্দিন কিডনি  রোগে ভুগছিলেন। ১৩ এপ্রিল তাকে ঢাকার কিডনি হাসপাতালে ভর্তি করে পরিবার। ১৫ এপ্রিল শারীরিক অবস্থা দেখে সন্দেহ হলে তার দেহের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠায় সেখানকার চিকিৎসকরা। পরীক্ষায় তিনি করোনায় আক্রান্ত বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়। পরে তাকে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে স্থানান্তর করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।’

তিনি জানান, ‘ওই ব্যক্তি হাসপাতালে যাওয়ার কথা থাকলেও না গিয়ে ১৮ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গায় পালিয়ে আসেন। গতকাল বিষয়টি জানাজানি হলে রাতেই তার বাড়িতে চিকিৎসার কাগজপত্র দেখে করোনায় আক্রান্ত বিষয়টি নিশ্চিত হয় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। তাকে আবারও ঢাকায় পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।’ 

এছাড়া আজ মঙ্গলবার আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা লোকজনদের নমুনা সংগ্রহ করা হবে বলেও জানান এই চিকিৎসক।   

উল্লেখ্য, এর আগে  গত ১৯ মার্চ চুয়াডাঙ্গায় প্রথম ইতালিফেরত যুবক সাব্বির হোসেনের শরীরে করোনা ভাইরাস ধরা পড়ে। পরবর্তী তিনি সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফেরেন। এ নিয়ে জেলায় প্রাণঘাতি করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দুইজনে দাঁড়ালো।  

এআই/
 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি