কক্সবাজারে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কাজ করছে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি
প্রকাশিত : ১৮:২৭, ২৪ এপ্রিল ২০২০ | আপডেট: ২০:১০, ২৪ এপ্রিল ২০২০
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কক্সবাজার জেলায় চলমান মিয়ানমার রিফিউজি রিলিফ অপারেশন (এমআরআরও) প্রোগাম কোভিড১৯ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে ১৬টি ক্যাম্পে বসবাসরত মিয়ানমারের জনগোষ্ঠীর মাঝে স্বাস্থ্য জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে সচেতনতামূলক নানা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। ক্যাম্প গুলোতে কর্মরত ৩৫০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ২০০০ জন স্বেচ্ছাসেবককে কোভিড সংক্রমনরোধ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতকরণের অংশ হিসেবে “সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ (ওচঈ)” উপকরণ প্রদান করা হয়েছে। অন্যদিকে, ক্যাম্পে বসবাসরত জনগোষ্ঠীর মৌলিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিককরণে ক্যাম্পের ৭৭,৮৩৬ পরিবারের মাঝে সাবান বিতরণ করা হয়েছে বলে রেড ক্রিসেন্টের এমআরআরও কর্তৃপক্ষ জানায়।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির রিফিউজি রিলিফ অপারেশন (এমআরআরও) প্রোগ্রামের আওতায় কক্সবাজার জেলার উখিয়া ও টেকনাফে দুটি পৃথক কোয়ারানটাইন সেন্টার চলমান রয়েছে। পাশাপাশি, সাম্প্রতিক সময়ে অবৈধভাবে নৌপথে মালয়েশিয়া যাওয়া থেকে ফেরত আসা ৪০০ মিয়ানামারের নাগরিককে কোভিড১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধে হোম কোয়ারানটাইন সেন্টারে রাখার ব্যাপারে সরকারকে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির গজজঙ প্রোগ্রাম সার্বিক সহযোগিতা করছে।
এমআরআরও প্রোগ্রাম জানায়, ইউএনএইচআর এর সহযোগিতায় বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্টে সোসাইটির এমআরআরও কর্মসূচীর মাধ্যমে ১৬টি ক্যাম্পে অবস্থানরতদের মাঝে গত এক সপ্তাহে অতি প্রয়োজনীয় গ্যাসের চুলা, স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গায়ে মাখা ও কাপড় ধোয়া সাবান, মহিলাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে হাইজিন কিট, প্রি মুনসুন কিট ও নন ফুড আইটেম বিতরণ করা হয়েছে, যা জীবন রক্ষার্থে ও কোভিড সংক্রমণ থেকে নিজেদেরকে মুক্ত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বিডিআরসিএস এমআরআরও প্রোগ্রাম কর্মকর্তারা জানায়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ক্যাম্পের বিতরণ পয়েন্ট গুলোতে প্রবেশের আগে প্রত্যেকের তাপমাত্রা রেকর্ড, জীবাণুনাশক স্প্রে ও সাবান দিয়ে হাত ধোয়া নিশ্চিতকরণ এবং সামজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি প্রতিনিয়ত নিশ্চিত করা হয়। এছাড়াও ক্যাম্পে প্রবেশকারী যেকোন যানবাহনকে জীবাণুনাশক স্প্রে করার পরই কেবল ক্যাম্পে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়।
রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জানায়, কক্সবাজারের ক্যাম্পে বসবাসরতদের কোভিড১৯ সংক্রমণ থেকে মুক্ত রাখা ও স্বাস্খ্য সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে ৪০০ জোড়া সার্জিক্যাল মাস্ক, সুরক্ষা চশমা ১০০ জোড়া, হ্যান্ড গ্লাভস্ ৩০০ জোড়া, ইনফ্রারেড থার্মোমিটার ১২ পিচ্,হেক্্রাসল ৩৬৩ লিটার, ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম ২০০ সেট ও ২৫টি জীবাণুনাশক স্প্রে মেশিন ইতোমধ্যে প্রদান করা হয়েছে।
এছাড়াও, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি পরিচালিত পপুলেশন মুভমেন্ট অপারেশন প্রোগ্রামের মাধ্যমেও নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনাসহ পৃথকভাবে কক্সবাজার জেলার অন্যান্য ক্যাম্পে বসবাসকারী মিয়ানামারের জনগোষ্ঠীর জন্য আইসোলেশন সেন্টার স্থাপনসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে সচেজতনতামূলক নানা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
এদিকে, কোভিড ১৯ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে রাজধানীসহ সারাদেশে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি গৃহিত ধারাবাহিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গত ২৩ এপ্রিল র্যাব সদর দপ্তর, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়,স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে জীবাণুনাশক স্প্রে কার্যক্রম পরিচালনা করেছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবকরা।
আরকে//
আরও পড়ুন