মৌলভীবাজারের কুলাউড়া লকডাউন
প্রকাশিত : ১৯:৫০, ২৭ এপ্রিল ২০২০
কমলগঞ্জ-কুলাউড়া প্রধান সড়কে ব্যারিকেড
মৌলভীবাজার জেলায় করোনা আক্রান্ত ১৩ জনের মধ্যে দুইজন পুলিশ সদস্যসহ ৬ জনই কুলাউড়া উপজেলায়। আনান্য উপজেলা করোনার সংস্পর্শে এলেও কমলগঞ্জ উপজেলায় এখনও করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়নি। তাই কুলাউড়ার সাথে কমলগঞ্জের প্রধান সড়কটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
সোমবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর থেকে কমলগঞ্জের শমশেরনগর-কুলাউড়া প্রধান সড়কের শ্রীসূর্য এলাকায় গাছের খন্ডাংশ ফেলে ও বাঁশ পুতে সড়কটি বন্ধ করে দিয়েছে এলাকাবাসী। একইসাথে কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের সাথে কমলগঞ্জের শমশেরনগর ইউনিয়নের সড়ক পথও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
শ্রীসূর্য গ্রামের সুমন খান বলেন, কুলাউড়া উপজেলা এখন করোনা ভাইরাসের জন্য বিপজ্জনক এলাকা। প্রতিদিনই এ উপজেলায় করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। কমলগঞ্জ উপজেলায় যাতে করোনা ভাইরাস সংক্রমিত না হয়, সে জন্য গ্রামবাসী পতনউষা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী তওফিক আহমদ ও শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক (তদন্ত) অরুপ কুমার চৌধুরীকে অবহিত করেই এ সড়কটি বন্ধ করে দিয়েছে।
অন্যদিকে সোমবার সকালে কুলাউড়া উপজেলার সীমান্তবতী শরীফপুর ইউনিয়নের চলাচলকারী চাতলাপুর- স্থল শুল্ক স্টেশন সড়কের জোড়াপুল এলাকায় বাঁশ পুতে সড়কটি বন্ধ করে দিয়েছে এলাকাবাসী।
কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনয়িনের চেয়ারম্যান মো. জুনাব আলী কমলগঞ্জের সাথে তার ইউনয়িনের সড়ক যোগাযোগ বন্ধের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এ মাহবুবুল আলম ভূঁইয়া বলেন, এখনও কমলগঞ্জ উপজেলা করোনামুক্ত রয়েছে। কড়াকড়ি লকডাউন মানলে এবং মানুষজন আরেকটুক সচেতন হলে এ উপজেলা করোনা সংক্রমিত হবে না।
তিনি আরও বলেন, কুলাউড়া উপজেলার সাথে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রাখা সঠিক হয়েছে। এতে অন্য উপজেলায় যাওয়া ও এ উপজেলায় আসার প্রবণত কমবে।
শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক (তদন্ত) অরুপ কুমার চৌধুরী বলেন, থানার ওসি ও প্রশাসনের জ্ঞাতসারেই এই সড়কগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে।
এনএস/
আরও পড়ুন