নিত্যপণ্যের বাজার অস্থিতিশীল
বেনাপোল-শার্শায় সবজি বাজারে এলাহীকাণ্ড
প্রকাশিত : ১৯:০৭, ২৮ এপ্রিল ২০২০
যশোরের বেনাপোল-শার্শার কাঁচা বাজার
এবারে রমজানের শুরু থেকেই যশোরের বেনাপোল-শার্শার নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে কিছু অতি প্রয়োজনীয় পণ্যের দামও। সাধারণ মানুষের ক্রয় সীমার বাইরে চলে যাওয়ায় রোজাদারসহ সাধারণ মানুষ গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সরকারের নির্দেশ অমান্য করে অসাধু ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফা লাভের জন্য ইচ্ছেমতো দাম বৃদ্ধি করে পণ্য বিক্রি করছে বলে জানান তারা। যা গত কয়েক দিনের বাজার মূল্যের দুই থেকে তিন গুণ বেশি।
সরেজমিনে বাজার ঘুরে দেখা যায়, রোজা শুরুর আগেরদিন বাজারে নিত্যপণ্যের যে দাম ছিলো রোজার প্রথম দিন থেকে সব ধরনের পণ্যের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে যায়। রোজার চতুর্থ দিনে প্রকারভেদে নিত্যপণ্যের মুল্য আরো বেড়ে যায়। এ যেন এক এলাহী কাণ্ড!
গত কয়েকদিনে খুচরা বাজারে বেগুনের মূল্য ছিলো প্রতি কেজি ২০ টাকা। এখন তার দাম পাইকারীতে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। এমনিভাবে প্রতিটি সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ৩০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০ টাকার শসা বিক্রি হচ্ছে পাইকারীতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। আদার দাম ছিল ২৫০ টাকা, যা এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা কেজিতে। ৫০ টাকার ধনেপাতা বিক্রি হচ্ছে ১শ টাকা, ২০ টাকার পটল বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, মাছ-মাংসসহ চাল, ডাল, চিনি, ছোলা ও অন্যান্য প্রতিটি ভোগ্য পণ্যের দাম কেজি প্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে। বিভিন্ন ফল ও খেজুর বিক্রি হচ্ছে চড়া মূল্যে। সাধারণ মানুষের বক্তব্য বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায় বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণে নেই। অন্যান্য বছরের ন্যায় এক শ্রেণির মুনাফালোভী অসৎ ব্যবসায়ীর কারসাজিতে বাজার মূল্যের এ অবস্থা বলে ভূক্তভোগীরা জানান। সাধারণ ক্রেতারা জরুরীভাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আহ্বান জানান। তা না হলে লাগামহীন পণ্য মানুষের ক্রয় সীমার বাইরে চলে যাবে।
সবজি ব্যবসায়ীরা জানান, তারা যেদিন যেমন দামে মাল কিনছেন তেমন দামেই বিক্রি করছে। আড়ৎ থেকে বেশি দামে কিনে আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। দাম বেশি হওয়ায় আমাদের ব্যবসা করতে কষ্ট হচ্ছে।
বর্তমান করোনা ভাইরাসের কারণে কর্মহীন মানুষ। লকডাউনে আছে ধনী-গরীব, মধ্যবিত্তরা। এমন ভয়াবহ অবস্থায় নিত্যপণ্যের লাগমহীন দাম সত্যিই মরার উপর খাড়ার ঘা অবস্থা, দিশেহারা মানুষ। অচিরেই নিত্যপণ্যের বাজার মূল্য স্বভাবিক হবে এমনটায় প্রত্যাশা সচেতন মহলের।
এনএস/
আরও পড়ুন