নওগাঁয় ১৬ জন করোনায় আক্রান্ত, সবার বাড়ি লকডাউন
প্রকাশিত : ১২:১০, ২৯ এপ্রিল ২০২০
নওগাঁয় ২৪ ঘণ্টায় আরো ১৬ জনের নমুনায় করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে নওগাঁ জেলায় মোট আক্রান্ত ১৭ জন। তাদের সকলেই ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ ফেরত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসে আক্রান্ত হয়েছেন।
বুধবার সকালে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন নওগাঁ ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মনজুর মোরশেদ।
আক্রান্তরা হলো, নওগাঁর রানীনগরে আক্রান্ত নার্সের স্বামী সন্তানসহসহ একই পরিবারের পাঁচ জন। সাপাহার উপজেলায় তিন জন, মহাদেবপুর উপজেলায় দুই জন, পোরশা উপজেলায় এক জন, মান্দা উপজেলায় দুই জন, এবং আত্রাই উপজেলায় তিন জন।
নওগাঁর ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মনজুর মোরশেদ জানান, নওগাঁয় প্রথমে রানীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক সিনিয়র স্টাফ নার্সের শরীর থেকে সংগ্রহ করা নমুনায় করোনা পজেটিভ পাওয়া যায়। এরপর তার সংস্পর্শে আসা ৬০ জনের নমুনা পাঠানো হয় আইইডিসিআরে। পরীক্ষায় ওইসবের মধ্য ৫জনের নমুনা করোনা পজেটিভ বলে জানিয়েছে আইইডিসিআর। এরপর পুরো পরিবারটি লকডাউনে রাখা হয়েছে। এছাড়া করোনা পজেটিভ প্রত্যেকের পরিবার লকডাউন করা হয়েছে।
এদের মধ্যে ৬ জনের পরিচয় জানা গেলেও অপর ১১ জনের এখনো পরিচয় জানাতে পারেনি স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ। এদের মধ্যে রানীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র নার্স ও তার পরিবারের অপর ৪জন। এদিকে নওগাঁর সাপাহার উপজেলার গোয়ালা ইউনিয়নের কামাশপুর কামারডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা একজন। আক্রান্ত ব্যাক্তির বয়স ৪২ বছর। পেশায় তিনি একজন পল্লী চিকিৎসক। এই ঘটনায় আক্রান্তের পরিবারের সকল সদস্য ও তার সান্নিধ্যে আসা সকলের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হয়েছে এবং ওই গ্রামের তিনটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: রুহুল আমিন বলেন, গত ২৫ এপ্রিলে ওই ব্যক্তি ঢাকায় এক ব্যক্তির চিকিৎসার সহযোগিতা শেষে নিজ বাড়িতে ফিরে আসেন । তার শরীরে জ্বর থাকায় ওই রাতেই তাকে হোম কোয়ারাইন্টাইনে রাখা হয়েছিল। পরদিন ২৬ এপ্রিল তারসহ চারজনের নমুনা সংগ্রহ করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে স্থাপিত পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার রাতে তার রিপোর্ট পজেটিভ আসে।
নওগাঁ থেকে এখন পর্যন্ত মোট ৭৮৩ জনের নমুনা পাঠানো হয়। এর মধ্যে ৫১৫ জনের রিপোর্ট এসেছে যার মধ্য ১৭ জনের পজেটিভ আছে এবং বাকী ২৬৮ জনের রিপোর্ট এখনো অপেক্ষায় আছে।
এদিকে জেলা প্রশাসক মোঃ হারুন অর রশিদ জানান, জেলার সাপাহার, রানীনগর, মহাদেবপুর, পোরশা, মান্দা ও আত্রাই উপজেলা এলাকায় করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্ত ব্যাক্তিদের বাসাবাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। এছাড়া তাদের সংস্পর্শে যারা এসেছেন তাদের চিহিৃত করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৪৬ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে ১ হাজার ৬২ জন। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে ৩৭ জন। ১৪ দিনের মেয়াদ শেষে করোনা শনাক্ত না হওয়ায় ৫৫ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৩ এপ্রিল নওগাঁর রানীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক সেবিকা জেলায় প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।
এমবি//
আরও পড়ুন