ঢাকা, শনিবার   ০২ নভেম্বর ২০২৪

বেনাপোলে প্রবেশের অপেক্ষায় ২২১৪টি ভারতীয় ট্রাক

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ২০:১৯, ২৯ এপ্রিল ২০২০ | আপডেট: ২০:৩২, ২৯ এপ্রিল ২০২০

পণ্যবোঝাই ট্রাকের জট

পণ্যবোঝাই ট্রাকের জট

ভারতের পেট্রাপোলে রফতানি পণ্যবাহী ট্রাকজট কমাতে বেনাপোল-পেট্রাপোল চেকপোষ্টের নোম্যান্সল্যান্ডে ভারত থেকে আমদানিকৃত পণ্য লোড-আনলোড করার ব্যাপারে প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত-বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা। 

বুধবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে নোম্যান্সল্যান্ডে এক জরুরী বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে চালু করা হবে এ আমদানি-রফতানি কার্যক্রম। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য, অতি প্রয়োজনীয় ও পঁচনশীল পণ্য দিয়ে ভারত রফতানি শুরু করবে। পরে অন্যান্য পণ্য আমদানি-রফতানি করা হবে।

করোনা ভাইরাসের জন্য লকডাউনের মধ্যে এদিন দুপুরে নোম্যান্সল্যান্ডে এক জরুরী বৈঠকে বসেন বাংলাদেশ-ভারত ব্যবসায়ী নেতারা। এতে বাংলাদেশের পক্ষে বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি কামাল উদ্দিন শিমুল, সদস্য আমিনুল হক আনু, সিএন্ডএফ এজেস্ট ষ্টাফ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান, কার্গো সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রাকিবসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আর ভারতের পক্ষে পেট্রাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট ষ্টাফ ওয়েল ফেয়ার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী, বনগাঁ আমদানি-রফতানিকারক সমিতির সভাপতি পরিতোষ বিশ্বাসসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে বক্তারা বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে আমদানি-রফতানি চালু করতে পারছে না ভারতের পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় পেট্রাপোল বন্দরের সেন্ট্রাল পার্কিং থেকে বনগাঁ পৌরসভার কালিতলা পার্কিংয়ে এ পর্যন্ত ২২১৪টি রফতানির পণ্য বোঝাই ভারতীয় ট্রাক দাঁড়িয়ে রয়েছে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ও পশ্চিম বঙ্গ রাজ্য সরকারের মতপার্থক্যের জন্য পূর্বের ন্যায় বাণিজ্য চালু হচ্ছে না। ফলে পাটবীজসহ বিভিন্ন প্রকার পঁচনশীল পণ্য ও শিল্প কলকারখানায় ব্যবহৃত কাঁচামাল আটকে পড়ায় বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। দুই দেশে প্রায় ৩০/৪০ হাজার মানুষ বেকার হয়ে পড়েছে। আমদানি-রফতানি চালু হলে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে কর্মচাঞ্চলতা ফিরে আসবে। করোনা থেকে রক্ষা পেতে বন্দর ব্যবহারকারীদের স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক হ্যান্ড গ্লোভস, মাস্ক, হ্যান্ড সেনিটাইজার অথবা সাবান পানির ব্যবস্থা থাকতে হবে।

ভারতের পেট্রাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট ষ্টাফ ওয়েল ফেয়ার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, করোনা ভাইরাসের জন্য ভারত সরকার দফায় দফায় লকডাউন বৃদ্ধি করায় আমদানি-রফতানি চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। লকডাউন ঘোষণার পর গত ২৩ মার্চ থেকে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সকল প্রকার আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে। ভারতীয় ট্রাক চালকরা বাংলাদেশে গেলে চালককে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে রাখবে পেট্রাপোল পুলিশ। তাই ভারতীয় ট্রাক নোম্যান্সল্যান্ড পর্যন্ত যাবে। বাংলাদেশী ট্রাক ও শ্রমিকরা সেখান থেকে মালামাল লোড আনলোড করে নেবে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য, অতি প্রয়োজনীয় ও পঁচনশীল পণ্য দিয়ে রফতানি শুরু করা হবে, পরে অন্যান্য পণ্য বাড়ানো হবে। পরিস্থিতি ভাল হলে পূর্বের ন্যায় কাজ করা যাবে। 

বেনাপোল আইসিপি বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার আব্দুল ওয়াহাব জানান, নোম্যান্সল্যান্ড ব্যবহার করতে হলে বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। আমরা কথা বলার পর আপনারা কাজ করতে পারবেন। 

বেনাপোলের সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি কামাল উদ্দিন শিমুল বলেন, করোনা ভাইরাসের জন্য দুই দেশে লকডাউন চলছে, ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ও একটি বিষয় আছে। প্রবেশের অপেক্ষায় ২/৩ শ পণ্য বোঝাই ট্রাক পেট্রাপোল বন্দর এলাকায় দাঁড়িয়ে আছে। রোজার সময় ফল, পেঁয়াজের প্রয়োজন তাই নোম্যান্সল্যান্ড ব্যবহার করেই কার্যক্রম চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। নিরাপত্তার মধ্যে থেকেই কাজ করতে হবে।

বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক মামুন কবির তরফদার বলেন, ভারত যদি পণ্য রফতানি করে, বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা যদি নোম্যান্সল্যান্ডে তা গ্রহণ করে তাহলে বন্দরের পক্ষ থেকে সকল প্রকার সহযোগিতা করা হবে। 

এনএস/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি