জুমার নামাজ নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় দুই মামলা, গ্রেফতার ৬
প্রকাশিত : ১৫:৪০, ২ মে ২০২০
নাটোর সদর উপজেলার পশ্চিম হাগুরিয়া গ্রামে জুমার নামাজ পড়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। পৃথক দুই মালায় ২৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
একটি ইমামকে মারধর করার ঘটনায়। মসজিদের মোয়াজ্জিন আব্দুস সামাদ বাদী হয়ে শাহীন নামে স্থানীয় এক যুবককে একমাত্র আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন। অপরদিকে, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় নাটোর থানার এসআই আনহার বাদী হয়ে ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে অপর মামলাটি দায়ের করেন।
এ দুটি মামলায় পুলিশ এখন পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, শাহীন, মহব্বত, আজিম, আরিফ, মজনু ও আহমেদ।
শুক্রবার (১ মে) জুমার নামাজে পূর্ব হাগুরিয়া মসজিদের ইমাম সাহেব সরকারি নীতি অনুযায়ী ১২ জন মুসল্লি নিয়ে মসজিদের দরজা বন্ধ করে জুমার নামাজ আদায় করেন। এতে স্থানীয় যুবক শাহীনসহ আরও কয়েকজন জুমার নামাজে অংশ নিতে ব্যর্থ হয়। নামাজ শেষে শাহীন মসজিদের ইমামের উপর চড়াও হলে মুসুল্লিরা তাকে মারধর করে। এ নিয়ে গ্রামে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনাসহ হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হলে গ্রামবাসীদের একাংশ পুলিশের ওপর চড়া হয়। এতে পুলিশ-গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলে ৪ পুলিশসহ ৫ জন আহত হয়। পরে পুলিশ লাঠি চার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, এসআই আনোয়ার হোসেন, পুলিশ সদস্য ফজলে রাব্বি, সেকেন্দার ও মহিলা পুলিশ জয়া সরকার। এসময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ ৯ জনকে আটক করা হয়।
এ ঘটনায় রাতে পৃথক দুটি মামলা দায়েরের পর পুলিশ ইউপি সদস্যসহ কয়েকজনকে ছেড়ে দেয়। পরে পুলিশের এসআই আনহারের মামলায় পুলিশের ওপর হামলা, কর্তব্য কাজে বাধা প্রদানের অভিযোগে আহমেদ, মহব্বত, আজিম, আরিফ ও মজনুকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে। অপরদিকে, ইমাম সাহেবের ওপর হামলার ঘটনায় শাহীনকে গ্রেফতার করা হয়।
নাটোর সদর সার্কেলের এসপি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত সাংবাদিকদের জানান, ‘অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যহত আছে।’
এআই//
আরও পড়ুন