ঢাকা, শনিবার   ০২ নভেম্বর ২০২৪

মাদারীপুরে ১১টি বানরকে বিষ খাইয়ে হত্যা

মাদারীপুর প্রতিনিধি 

প্রকাশিত : ১১:১৪, ৬ মে ২০২০

মাদারীপুর পৌরসভার চরমুগুরিয়া এলাকায় ১১টি বিলুপ্ত প্রায় প্রজাতির বানরকে বিষ খাইয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। 

মঙ্গলবার দিনের কোনো এক সময় বানরগুলোকে খাবারের সঙ্গে বিষ দেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

জেলা বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাপস সেনগুপ্ত জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে তারা খবর পেয়ে চরমুগরিয়া গিয়ে ১১টি বানরকে মাটিচাপা দেওয়া অবস্থায় এবং একটিকে অসুস্থ অবস্থায় দেখতে পান।

তাপস বলেন, মঙ্গলবার দিনের কোনো এক সময় বানরগুলোকে খাবারের সঙ্গে বিষ দেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অসুস্থ বানরটিকে উদ্ধার করে প্রাণী সম্পদ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

তবে এর পেছনে কে বা কারা রয়েছে সে সম্পর্কে তিনি কিছু বলতে পারেননি।

বন কর্মকর্তা বলেন, ঘটনাটা পুলিশকে জানানো হয়েছে। এ ঘটনায় বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইনে মামলা করা হবে।

স্থানীয়রা জানান, মাদারীপুর শহরের এই বানরগুলো শত বছর ধরে চরমুগরিয়া বন্দরের মানুষের পাশাপাশি বসবাস করে আসছে। মঙ্গলবার বিকালে দুর্বৃত্তরা কয়েকটি বানরকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে বিষ খাইয়ে দেয়। এতে ১০টি বানর মারা গেছে। এছাড়াও একটি বানর অর্ধমৃত্য অবস্থায় পড়ে আছে। মৃত্যু ১০টি বানরকে স্থানীয়রা মাটি চাপা দিয়ে রেখে। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, স্থানীয় একটি বেকারী কারখানার মালিক বিষ প্রয়োগ করে বানরগুলোকে মেরে ফেলেছে। 

তারা আরও জানান, খাদ্য সংকটের কারণে বানরগুলো বাসা বাড়িতে বিভিন্ন সময় হানা দিতো। তবে এ কারণে কেউ কখনও বানর মারেনি।

বিষয়টি জানাতে পেরে মাদারীপুর জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম জেলা বন কর্মকর্তাকে মামলা করার নির্দেশ দিয়েছেন।

মাদারীপুর জেলা বন বিভাগের তথ্য মতে, চরমুগরিয়ায় এখনও আড়াই হাজারের মতো বানর আছে।

উল্লেখ্য, আড়িয়াল খাঁ নদীবেষ্টিত মাদারীপুরের চরমুগরিয়া অঞ্চল বনজ ও ফলদ গাছে পূর্ণ ছিল। মুক্তিযুদ্ধের আগে এ বনে ১০ হাজারের মতো বানর ছিল। তখন জঙ্গল ও শত শত গাছ থাকায় বানরগুলোর বিচারণ ছিল চরমুগরিয়ার এলাকাজুড়ে। বানরের অভায়ারন্যের জন্য মাদারীপুর সদর উপজেলার কুমার নদের তীরে নয়াচর এলাকায় ১৮ একর জায়গাজুড়ে ইকোপার্ক নির্মাণ করা হলেও বানরগুলো আজও সেখানে নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এমবি//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি