ঝালকাঠিতে করোনা উপসর্গ নিয়ে প্রধান শিক্ষকের মৃত্যু
প্রকাশিত : ১৯:৪২, ৯ মে ২০২০

ঝালকাঠিতে করোনা
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায় করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে হরিদাস হালদার (৫৭) নামে এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৯ মে) সকাল সাড়ে ৮টায় মধ্য দক্ষিণ তারাবুনিয়া নিজ তিনি বসতবাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন।
মৃত হরিদাস হালদার রাজাপুর উপজেলার ১নং সাতুরিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ তারাবুনিয়া (মধ্য) গ্রামের হরেন্দ্র নাথ হালদারের পুত্র এবং ৭৮নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি গত ৫/৬ দিন ধরে সর্দি, কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্টে ও বুকে ব্যথায় ভুগছিলেন। এসব উপসর্গ নিযে পার্শ্ববর্তী ভান্ডারিয়া উপজেলা সদরে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে অবস্থান করছিলেন।
মৃত হরিদাসের পুত্র সৈকত বলেন, অনেকদিন আগে বাবা দু'বার স্ট্রোক করে সুস্থ হয়েছেন। ৫/৬ দিন পূর্বে জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। ভান্ডারিয়া হাসপাতালে ডাক্তার দেখিয়ে বাবাকে বাড়িতে নিয়া আসি। বাড়িতে ঔষধপত্র খাওয়ানো হচ্ছিল। আজ সকালে বাবা মারা যাওয়ার পরে রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার মোঃ জাহিদ হোসেন বাবার নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে গেছেন।
রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আবুল খায়ের মাহমুদ রাসেল জানান, হরিদাস হালদার দুইবার স্ট্রোক করছেন, তার ব্যবস্থাপত্রে টাইফয়েট জ্বরের ঔষধ ইনজেকশন লেখা আছে। তিনি রাজাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও ভান্ডারিয়ায় চিকিৎসা নিছেন। আমরা আজ খবর পেয়ে তার নমুনা সংগ্রহ করেছি। রিপোর্ট আসার পরে বলা যাবে তিনি করোনা আক্রান্ত ছিলেন কিনা!
রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সোহাগ হাওলাদার মুঠোফোনে জানান, রিপোর্ট আসার পরে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, রাজাপুর উপজেলায় এখন পর্যন্ত ২ জন কোভিট-১৯ শনাক্ত হয়েছেন। তারা রাজাপুর হাসপাতালের কর্মকর্তা এবং সেখানেই হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন।
এনএস/
আরও পড়ুন