ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

জয়পুরহাট ও রাজবাড়ীর ৯ রোগীর করোনা জয়

জয়পুরহাট ও রাজবাড়ী প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১১:৪২, ১১ মে ২০২০

জয়পুরহাটে করোনা জয়ী চারজন

জয়পুরহাটে করোনা জয়ী চারজন

প্রাণঘাতি করোনা জয় করেছেন জয়পুরহাট ও রাজবাড়ীর ৯ রোগী। গতকাল রোববার ওই দুই জেলার ৯ রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন। 

জয়পুরহাটে জেলার গোপীনাথপুর ইন্সটিটিউট অব হেলথ  টেকনোলজির আইসোলেশন ইউনিটে থাকা করোনায় আক্রান্ত চার রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। 

রোববার দুপুরের দিকে গোপীনাথপুর ইন্সটিটিউট অব হেলথ  টেকনোলজির  আইসোলেশন ইউনিট চত্তরে স্বাস্থ্য বিভাগ ও হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি এর পক্ষ থেকে ফুলের তোড়া ও ফল-মূলের প্যাকেট, ফুল ছিটিয়ে করোনামুক্ত চার রোগীকে ছাড়পত্র এবং এই উপহারগুলো তুলে দেওয়া হয়। 

ছাড়পত্র দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেলিম মিঞা, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তুলসী চন্দ্র, আক্কেলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রাধেশ্যাম আগরওয়ালা ও পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ও গোপীনাথপুর ইন্সটিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি  প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশন ইউনিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডা. রাফসান জানি, গোপীনাথপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ জোয়ারদার ও স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ।

গোপীনাথপুর ইন্সটিটিউট অব হেলথ  টেকনোলজির আইসোলেশন ইউনিটের ইনচার্জ আতিকুর রহমান জানান, ১৬ এপ্রিল নারায়নগঞ্জ ফেরত কালাই উপজেলার জিন্দারপুর গ্রামের দুই সবজি ব্যবসায়ীর শরীরে প্রথম করোনাভাইরাস সনাক্ত হয় এছাড়াও ২০ এপ্রিল পাঁচবিবি উপজেলার ছোট মানিক এলাকার নারায়নগঞ্জ ফেরত একটি বায়িং হাউজে কর্মরত ৩৩ বছরের এক যুবকের কোন উপসর্গ না থাকলেও করোনা পজিটিভ ও ২১ এপ্রিল একই উপজেলার পূর্ব কড়িয়া বটতলী এলাকার নারায়ণগঞ্জ ফেরত ৪৩ বছরের এক ব্যক্তির করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। এদের সবাইকে করোনা শনাক্তের পর গোপীনাথপুর ইন্সটিটিউট অব হেলথ  টেকনোলজি আইসোলেশন ইউনিট কেন্দ্রে আনা হয়। প্রায় এক মাস চিকিৎসা দেওয়ার পর তাদেরকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।

পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ও গোপীনাথপুর ইন্সটিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশন ইউনিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডা. রাফসান জানি বলেন, করোনা যেহেতু প্রথম একটি রোগ সেহেতু আমরা উপসর্গ (জ্বর,গলাব্যথা,সর্দি) ভিত্তিক রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে, প্রথমে রোগীকে ভয় পেয়ে গিয়েছিল,আমরা রোগীদের মানসিকভাবে মনোবল শক্ত রাখতে চেষ্টা করেছি। এতেই ভালো ফল হয়েছে।

জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ সেলিম মিঞা জানান, চার জনকে ছাড়পত্র দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে। তাদের প্রথম নমুনা পরীক্ষায় চারজনের পজিটিভ এসেছিল। তাই তাদেরকে আইসোলেশনে আনা হয়েছিল। পরে দুই দফায় নমুনা পরীক্ষায় তাদের নেগেটিভ আসে। 

এদিকে করোনা পজেটিভ হবার পর শত চিন্তা ও শঙ্কা নিয়ে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে স্থান হয়েছিল ৭ জন রোগীর। এদের মধ্যে ৫ জন সুস্থ হয়ে রোববার বিকালে বাড়ি ফিরেছেন।

বাড়ি যাওয়াদের মধ্যে রয়েছেন, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিটিসির) তিন সদস্য এবং জেলার পাংশা ও বালিয়াকান্দির অপর দুজন রোগী।

তাদেরকে হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটের সামনে ফুলের শুভেচ্ছা জানিয়ে ছাড়পত্র তুলে দেন, হাসাপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দীপক কুমার বিশ্বাস, আইসোলেশন ইউনিটের কোডিনেটর (মেডিসেন ও কার্ডিওলজি) ডা. শামীম আহসান, ইউনটের ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ অন্যান্য নার্সরা।

হাসাপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দীপক কুমার বিশ্বাস জানান, গত ১৬ এপ্রিল পাংশা থেকে করোনায় আক্রান্ত হয় এক যুবক (৩৪)। দীর্ঘ দিন রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি যান তিনি। এছাড়া ঢাকা থেকে বাড়িতে এসে ১৯ এপ্রিল করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার এক যুবক (১৯)। তাকেও রোববার হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসির) পাঁচজন সদস্য করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয় তাদের মধ্যে তিনজনের রিপোর্ট নেগেটিভ আসলে তাদের ছাড়পত্র দেওয়া হয়। বর্তমানে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে আরো দুই ব্যক্তি চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।

এমবি//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি