চুয়াডাঙ্গায় তরমুজের বাম্পার ফলনে করোনার প্রভাব
প্রকাশিত : ১৩:২২, ১২ মে ২০২০
চুয়াডাঙ্গায় অসময়ে তরমুজ চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন কৃষকরা। বিঘা প্রতি ৪০ থেকে ৪৮ হাজার টাকা খরচ করে লাভ করছেন দেড় থেকে দুই লাখ টাকা। আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ায় তরমুজ চাষে ঝুঁকছেন চাষীরা।
তবে, দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের প্রভাব পড়েছে বাজারে। পূর্বের তুলনায় চাহিদা কমে যাওয়ায় প্রথম দিকে ক্ষতিরমুখ দেখতে হয় কৃষকদের। তবে লকডাউন শিথিলে কাঙ্খিত মূল্য পাচ্ছেন চাষি ও ব্যবসায়ীরা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ৪ হাজার ২৭৪ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৩ হাজার ৭৮ বিঘা, দামুড়হুদায় ৫৭৩ বিঘা, জীবননগরে ১৮ বিঘা ও আলমডাঙ্গা উপজেলায় ৩৮ বিঘা জমিতে তরমুজের চাষ হয়েছে। অল্প খরচে ৪৫ দিন থেকে শুরু করে ৬৫ দিনের মধ্যে এক লাখ থেকে দেড় টাকা লাভ হওয়ায় এই জেলায় তরমুজ চাষ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ তালহা জুবাইর মাসরুর বলেন, ব্লাক বেরী ও গোল্ডেন ক্রাউন জাতের তরমুজ অসময়ে মাচায় চাষ হয়। এর ফলন ভাল, চাষ লাভজনক। করোনার কারণে প্রথমদিকে ট্রাক ঠিকমত না চলার কারণে দাম একটু কম পাওয়া গেলেও এখন ভাল দাম পাওয়া যাচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলায় অসময়ে ব্লাক বেরী ও গোল্ডেন ক্রাউন জাতের তরমুজ চাষ হয়েছে ৪ হাজার ২৭৪ বিঘা জমিতে। বিঘা প্রতি ৮০ মন হিসাবে ফলন পাওয়া যাবে ৩ লাখ ৪২ হাজার মন। ব্লাক বেরী জাতের তরমুজ ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা মন দরে বিক্রি হলেও গোল্ডেন ক্রাউন জাতের তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা দরে।
এ হিসাবে প্রতি মন ১ হাজার ২০০ টাকা হিসাবে বিক্রি হবে ৪১ কোটি ৪০ হাজার টাকায়। তরমুজ চাষ এ জেলার অর্থনীতির আশির্বাদ। এ চাষের ধারা ধরে রাখতে সরকারি সাহায্য সহযোগীতার দাবি জানিয়েছেন তরমুজ চাষীরা।
এআই//
আরও পড়ুন