সিরাজগঞ্জে থানা ও ক্লিনিক লকডাউন
প্রকাশিত : ১০:৫৬, ১৬ মে ২০২০
সিরাজগঞ্জের কাজিপুর থানার ওসি তদন্তসহ তিন পুলিশ সদস্যের শরীরে করোনা শনাক্ত হওয়ায় কাজিপুর থানা লকডাউন করা হয়েছে। তাদের সংস্পর্শে আসা সিরাজগঞ্জ সদর থানার ওসিসহ ৩৯ জন পুলিশ সদস্যকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
এ অবস্থায় কাজিপুর ডাক বাংলোয় থানার কার্যক্রম চলছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহিদ হাসান সিদ্দিকী।
এছাড়া এনায়েতপুর মন্ডল পাড়ার নিরাময় ক্লিনিক ও পার্শ্ববর্তী ৩ বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট এলাকার উপজেলা প্রশাসন এই আদেশ দিয়ে ১৪ দিন যেখানে যে অবস্থায় আছে সেখানে চিকিৎসা নিয়ে থাকার নির্দেশ দিয়েছে।
সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আকতার জানান, ‘কাজিপুরের আইনশৃংখলারক্ষার জন্য একজন ইন্সপেক্টর, দুজন উপ-পরিদর্শক, দুজন সহকারী উপ-পরিদর্শক ও ১২ জন কনস্টেবলকে নিযুক্ত করা হয়েছে। উপজেলা ডাকবাংলো থেকে তারা নিয়মিত আইন শৃংখলারক্ষার কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।’
সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, ‘আক্রান্ত তিন পুলিশ সদস্যের মধ্যে দুজনকে নিজ নিজ বাসায় হোম কোয়ারেন্টাইনে থেকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। একজনকে সদর উপজেলার বাগবাটি ৩১ শয্যা বিশিষ্ট কভিড-১৯ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা প্রত্যেকের নমুনা সংগ্রহের প্রক্রিয়া চলছে।’
জেলায় এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৬ জন। অপরদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া এক গৃহবধূর সংস্পর্শে আসায় সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার মন্ডলপাড়া এলাকার নিরাময় ক্লিনিক ও পার্শ্ববর্তী তিনটি বাড়ি লকডাউন করেছে উপজেলা প্রশাসন।
শুক্রবার দুপুরে খোকশাবাড়ি মন্ডলপাড়ার নিরাময় ক্লিনিক, খোকশাবাড়ি ঝুড়ি পট্টির আখলিমা খাতুন, সাইফুল ইসলাম কেরুর বাড়ি লকডাউন করা হয়।
শাহজাদপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মাসুদ হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে লকডাউনের আদেশ ঘোষণা করেন। এ সময় ক্লিনিকের সকল চিকিৎসক, নার্সসহ অন্যান্য কর্মচারীদের ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেন।
গত ১০ মে করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া বেলকুচির দৌলতপুর গ্রামের গৃহবধূ ইসমত আরার নমুনা পরীক্ষায় পজিটিভ ধরা পড়ায় উপজেলা প্রশাসন তার বাড়িটিও লকডাউন ঘোষণা করে।
এআই//
আরও পড়ুন