ঠাকুরগাঁওয়ে দোকান-পাট খুলে দেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ
প্রকাশিত : ১৮:৩৮, ১৮ মে ২০২০
ঠাকুরগাঁওয়ে দোকান-পাট খুলে দেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ ও সংসদ সদস্যের বাস ভবন ঘেরাও, ছবি -একুশে টিভি।
ঠাকুরগাঁও জেলায় বন্ধ করে দেয়া শপিংমল ও বিপনী বিতানগুলো পুনঃরায় খুলে দেয়ার ও শ্রমিকদের বেতন বোনাসের দাবিতে সোমবার (১৮ মে) বিক্ষোভ করেছে দোকান মালিক ও শ্রমিকরা। পরে তারা একই দাবিতে স্থানীয় সংসদ সদস্যের বাস ভবন ঘেরাও করে।
এদিন বেলা ১১টার দিকে তারা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিভিন্ন সড়ক ঘুরে স্থানীয় সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেনের বাসভবন ঘেরাও করে তাদের দাবি জানান। এ সময় তিনি অসুস্থতাজনিত কারণে কারো সাথে কথা বলেননি বলে জানান ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, জেলা প্রশাসনের দেয়া শর্ত সাপেক্ষে গত ১০ মে ঠাকুরগাঁওয়ের বিপনী বিতানগুলো চালু করেন ব্যবসায়ীরা। পরে সামাজিক দূরত্ব না মানায় সোমবার (১৮ মে) জেলার কাপড়, তৈরী পোশাক, কসমেটিক ও জুতার দোকান বন্ধ করে দেন জেলা প্রশাসক।
ঠাকুরগাঁওয়ে দোকান-পাট খুলে দেয়ার দাবিতে বিক্ষোভের চিত্র
দোকান বন্ধের এ সিদ্ধান্তে লোকসানের মুখে পড়েছে বলে দাবি মালিকপক্ষের। অপরদিকে কর্মচারীরা জানান, ঈদের আগেই তাদের বেতন ও বোনাস পরিশোধ করা না হলে তারা পরিবার পরিজন নিয়ে বিপদে পরবেন।
দোকান মালিকেরা জানান, যেহেতু দীর্ঘদিন তাদের দোকানপাট বন্ধ ছিল এবং প্রশাসনের নিদের্শে দিনে মাত্র ছয় ঘণ্টা ব্যবসা পরিচালনা করায় ক্রেতা সাধারণের উপচে পড়া ভিড় সামাল দিতে তাদের বেশ হিমশিম খেতে হচ্ছিল। এরইমাঝে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বজায় রেখে তারা ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন। কিন্তু প্রশাসন আকস্মিকভাবে আবার তাদের দোকানপাট বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়ায় তারা আর্থিকভাবে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন বলে উল্লেখ করেন। এমতাবস্থায় নেতৃবৃন্দ তাদের সকল দোকান খুলে দেওয়ার পাশিপাশি আর্থিক প্রণোদনার দাবি জানান।
দোকান-পাট খুলে দেয়ার পরের চিত্র
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক ড. কেএম কামরুজ্জামান সেলিম বলেন, স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব অনুসরণ করে সীমিত আকারে দোকানপাট ও শপিংমল গত ৯ মে থেকে চালু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাস্তব অবস্থাতে দেখা গেছে, প্রতিটি স্থানে মানুষের উপচে পড়া ভিড়। অসচেতনতা ও অবহেলার কারণে নির্দেশনামা যথাযথভাবে পালন করা হচ্ছে না। ফলে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ভয়াবহভাবে বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেওয়ায় জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনার পর কাপড়, কসমেটিক ও জুতার দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। জনসার্থে ঈদের আগে এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।
এনএস/
আরও পড়ুন