বিপদ সংকেত, বরিশালে প্রস্তুত ১০৫১টি আশ্রয়কেন্দ্র
প্রকাশিত : ২১:০১, ১৮ মে ২০২০

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান, ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে উপকূলীয় জেলা বরিশালে ১ হাজার ৫১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে পারবে ২ লাখ ৪০ হাজার মানুষ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সোমবার (১৮ মে) জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেল জানিয়েছে, ইতিমধ্যে বরিশাল জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি বেশ কয়েকটি সভা করেছেন। সভায় নেয়া গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের মধ্যে- সাইক্লোন শেল্টার সেন্টারের বাইরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকেও আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করার ব্যবস্থা গ্রহণ করে সেখানে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখা, জেলার সকল স্থানে মাইকিং ও আবহাওয়ার সর্বশেষ তথ্য প্রচার করা, মাঠে থাকা বোরো ধান দ্রুত কেটে ফেলার ব্যবস্থা করতে কৃষককে পরামর্শ দেয়া এবং প্রয়োজন হলে তাদের ধান কাটতে সহযোগিতা করা, প্রাণী সম্পদ রক্ষায় গুরুত্বারোপ করা, সিপিপি, রেড ক্রিসেন্টসহ সকল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকে দুর্যোগ মোকাবেলায় সকল ধরণের প্রস্তুত রাখা, জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে দুর্যোগ মোকাবেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা।
উল্লেখ্য, আবহাওয়া অফিসের দেয়া তথ্যানুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় আম্ফান ১৯ মে (মঙ্গলবার) শেষ রাত থেকে ২০ তারিখ বিকালের মধ্যবর্তী সময়ে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে। এ কারণে দেশের চার সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠী, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহে ৭ নম্বর বিপদসংকেত এর আওতায় থাকবে।
এনএস/
আরও পড়ুন