মালচিং পদ্ধতিতে সবজির ফলন দ্বিগুণ, খরচও কম (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:৪৬, ২০ ডিসেম্বর ২০২২
জমির মাটি পলিথিনে ঢেকে সবজি চাষে আগ্রহ বাড়ছে। মালচিং নামে এই পদ্ধতি কম খরচে লাভ বেশি। কম কীটনাশক ব্যবহার করায় বাজারে চাহিদাও ভালো। কৃষিবিদরা বলছেন, বরেন্দ্র অঞ্চলের জন্য এ পদ্ধতি খুবই উপযোগি।
প্রায় সব সবজি উৎপাদনের সময় ব্যবহার করা হয় মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক, যা মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর। তাই বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনের জন্য পরিবেশবান্ধব কৃষি প্রযুক্তি মালচিং। জমির মাটি সারিগুলো পলিথিন দিয়ে ঢাকা থাকায় বাইরে থেকে ছত্রাক বা রোগজীবাণু চারাকে আক্রমণ করতে পারে না।
এই মালচিং পদ্ধতিতে সবজির ফলন হয় বেশি। খরচও কম। কীটনাশক ব্যবহার করতে হয় খুবই কম। উৎপাদিত সবজির দাম ভালো মেলায় উৎসাহিত হচ্ছেন কৃষকরা।
কৃষকরা জানান, “একবছর ইনভেস্ট করলে ওখানে দুই বছরে আর ইনভেস্ট করতে হবে না। কারণ মালচিং পেপারের মেয়াদ হচ্ছে দু’বছর। পরিবর্তন করতে বীজ। দেখা যাচ্ছে টমেটো পাঁচ মাস থাকছে, শসা ২-৩ মাস থাকে। শুধু বীজ খরচটা লাগছে। এর বাইরে আর কোনো খরচ নেই।”
এ পদ্ধতিতে আগাছা জন্মাতে পারে না বলে পরিচর্যার জন্য তেমন শ্রমিকেরও প্রয়োজন হয় না। এছাড়াও সেচ দিতে হয় অনেক কম। কিন্তু ফলন হয় দ্বিগুণ।
গোদাগাড়ী উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা অতনুর সরকার বলেন, “আমাদের পানির লেয়াল প্রতিবছরই দুই থেকে তিন ফুট নীচে নেমে যাচ্ছে। একসময়ে দেখা যাবে ভূগভৃস্থ পানি পাওয়া যাচ্ছেনা। সেক্ষেত্রে মালচিং পদ্ধতিতে করলে পানি অল্প লাগছে, সেচ খরচ কম হবে।”
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মরিয়ম আহমেদ বলেন, “মালচিং পদ্ধতির ফসলের যে পুষ্টি উপাদান মাটি থেকে সেই উপকরণগুলো সহজে আহরণ করতে পারে। এর ফলে ফসলের পুষ্টতা এবং রং অত্যন্ত চমৎকার। স্বাদও খুব ভালো।”
৪ বছর ধরে রাজশাহীতে মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষিদের নিয়ে কাজ করছে কৃষি কর্মকর্তারা। এই পদ্ধতিতে সবজি চাষ করে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।
রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচলক মোজদার হোসেন বলেন, “যে ফসলগুলোতে গাছের অত্যাচার হয় বিশেষ করে স্ট্রবেরি, স্কোয়াস, শসা, গ্রীষ্মকালীন তরমুজ। এই চাষগুলোতে মালচিং ব্যবহার করলে চাষিরা লাভবান হতে পারবেন।”
চলতি মৌসুমে রাজশাহী জেলায় ২০ হেক্টর জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষ হয়েছে।
এএইচ
আরও পড়ুন