ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কৃষি উৎপাদনে মন্ত্রণালয়ের পদক্ষেপ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:০৪, ২৭ এপ্রিল ২০২০

করোনাকালীন সময়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকারের বিভিন্ন বিভাগ ও মন্ত্রণালয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে কৃষি মন্ত্রণালয় বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়। 

পদক্ষেপগুলো হলো:

*  কৃষিতে করোনা ভাইরাসের প্রভাব এড়াতে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, বীজ, সেচ ইত্যাদিসহ কৃষি খাতে জরুরি সহায়তা বাবদ প্রদেয় ২৫০ কোটি টাকার মাধ্যমে হাওরাঞ্চলে ৭০ শতাংশ ভর্তুকী মূল্যে কৃষকদের মাঝে ধান কাটার জন্য কম্বাইন হারভেস্টার, রিপার বিতরণ

*  সেচ এবং বীজ প্রণোদনার মাধ্যমে আউশের উৎপাদন বৃদ্ধির পরিকল্পনা গ্রহণ

*  পারিবারিক কৃষির আওতায় সবজি-পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সার, বীজ এবং প্রযুক্তি প্রণোদনার মাধ্যমে বসতবাড়ির আঙিনাসহ সকল পতিত জমিতে শাক সবজি এবং অন্যান্য ফসল চাষের উদ্যোগ

*  হাওরের বোরো ধান কাটার শ্রমিক সংকটের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে হাওর অঞ্চলে ধান টাকার জন্য জরুরী ভিত্তিতে নতুন ১৮০ টি কম্বাইন হারভেস্টার ও ১৩৭ টি রিপার সরবারহ প্রদান (পূর্বের বরাদ্দসহ বর্তমানে হাওরাঞ্চলে ৩৫৯ টি কম্বাইন হারভেস্টার ও ৪৪২ টি রিপার সচল রয়েছে এবং প্রায় ৩ লক্ষাধিক শ্রমিক নিয়োজিত আছে)

*  দ্রুত হাওরের বোরো ধান টাকার জন্য উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে কৃষি শ্রমিকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাওর এলাকায় আগমন ও চলাচল নির্বিঘ্ন করা। এ কাজে ইতোমধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ এবং জেলা/উপজেলা কৃষি অফিসের ব্যবস্থাপনায় হাওরে গমেনচ্ছু শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা, সাবান, স্যানিটাইজার, মাস্ক প্রভৃতি উপকরণ প্রদান, নির্বিঘ্ন গমনাগমন, ধান কাটা স্থলে স্বাস্থ্য সম্মতভাবে আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

*  হাওরে এবং যেসব অঞ্চলে ধান কর্তণের সময় হয়েছে সেই সকল অঞ্চলের জন প্রতিনিধিগণের সহায়তায় ‘নিজের ধান নিজের কাটি’ স্লোগান দিয়ে ধান কাটার উদ্যোগ গ্রহণ। এই উদ্যোগের ফলে ইতোমধ্যে ব্যাপক সাড়া দিয়ে জনপ্রতিনিধিদের পাশাপাশি ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ এবং বিভিন্ন পেশার মানুষ কৃষকের সাথে ধান কাটার অংশ নিচ্ছে;

* আগামী ৩০/০৪/২০২০ তারিখের মধ্যে নিচু হাওয়াঞ্চলের ধান কর্তণ সম্পন্ন এবং আগামী ০৭/০৫/২০২০ তারিখের মধ্যে সকল হাওরাঞ্চলের ধান কর্তণের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে;

*  যদিও আউশ একটি বৃষ্টি নির্ভর ফসল তথাপি আউশ মৌসুমে কোন কোন এলাকায় বীজতলা তৈরি এবং চারা রোপণের প্রাথমিক অবস্থায় সেচ প্রয়োজন হয়। এই প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণের উদ্দেশ্যে বিএডিসি কর্তৃক সেচ মাশুল ৫০ কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে যা পরবর্তী বোরো মৌসুমেও অব্যাহত থাকবে;

*  সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি সময়েও জরুরী পণ্য বিবেচনায় সার, বালাইনাশক, বীজ, সেচযন্ত্রসহ সকল কৃষিযন্ত্র (কম্বাইন হারভেস্টার, রিপার প্রভৃতি), খুচরা যন্ত্রাংশ, সেচযন্ত্রসহ কৃষিযন্ত্রে ব্যবহৃত জ্বালানি/ডিজেল, কৃষিপণ্য আমদানি, বন্দরে খালাসকরণ, দেশের অভ্যন্তরে সর্বত্র নির্বিঘ্ন পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয় অব্যাহত রাখা হয়েছে। 

* করোনা ছুটিকালীন সময়ে সকল কৃষিপণ্যবাহী গাড়ি চলাচল এবং কাজে নিয়োজিত সরকারী-বেসরকারী ব্যক্তিদের চলাচল নির্বিঘ্নকরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা

* দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের আওতায় প্রদত্ত সহায়তার সঙ্গে নিম্ন আয়ের মানুষদের প্রদত্ত সহায়তার সাথে ত্রাণ সামগ্রীতে আলু, সবজি, পেঁয়াজ ইত্যাদি নিত্য প্রয়োজনীয় কৃষিপণ্য অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। অনুরুপভাবে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিতরণযোগ্য ত্রাণ সামগ্রীতে আলুসহ নিত্য প্রয়োজনীয় কৃষিপণ্য অন্তর্ভূক্তকরণের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

* কৃষকের উৎপাদিত সবজি ও ফসলের ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তির লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় কৃষি বিপণন অধিদপ্তর কৃষি পণ্যের ভ্রাম্যমাণ বাজার পরিচালনা শুরু করেছে। 

*  বর্তমান বাজেটে কৃষকদের স্বার্থে সারসহ সেচ কাজে বিদুৎ বিল বাবদ কৃষি খাতে ৯০০০ কোটি টাকার ভর্তুকি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

* ডিএপি সারের মূল্য প্রতি কেজি ২৫ টাকা থেকে কমিয়ে ১৬ টাকায় নির্ধারণ

*  বর্তমান বাজেটে বরাদ্দকৃত কৃষিতে পুনর্বাসন ও প্রণোদনা বাবদ ১২০ কোটি টাকা, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের ক্ষতিপূরণ ও সমবায়ভিত্তিক (সমন্বয়ে) চাষাবাদের জন্য ৫০ কোটি টাকা এবং ফসলে নতুন জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণের জন্য প্রদর্শনী স্থাপন ও গ্রহণকরণ বাবদ ৭৫ কোটি টাকার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে

* বোরো ধানের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তির লক্ষ্যে খাদ্য বিভাগ কর্তৃক ধান/চাল ক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রকৃত কৃষকের তালিকা তৈরিকরণ এবং কৃষকের সুবিধার্থে ইউনিয়ন পর্যায়ে ময়েশ্চার মিটার (ধানের আর্দ্রতা পরিমাপক যন্ত্র) বরাদ্দ প্রদান

* আগামী খরিপ-২ এ রবি মৌসুমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মতে উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে উৎপাদন বৃদ্ধির আগাম পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে

* করোনাকালীন সাধারণ ছুটির সময় কৃষি কার্যক্রম সক্রিয় রাখতে সকল কর্মকর্ত-কর্মচারীদের কর্মস্থলে থেকে কৃষকের সাথে মাঠ পর্যায়ে অবস্থান নিশ্চিতকরণ

* কৃষকের সাথে থাকুন, কৃষকের পাশে থাকুন

এমএস/

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি