ঢাকা, শনিবার   ০২ নভেম্বর ২০২৪

এর পর যে প্রাণীটি বিলুপ্ত হতে চলেছে!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:১৪, ২৩ মার্চ ২০১৮ | আপডেট: ১৪:২২, ৩ এপ্রিল ২০১৮

সারা বিশ্বে বেঁচে থাকা একমাত্র পুরুষ শ্বেত গণ্ডারটির মৃত্যুর পর এই প্রজাতিব প্রাণীটি `আনুষ্ঠানিকভাবে` বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এখন এই প্রাণীটিকে ফিরে পাওয়ার একমাত্র উপায় হলো বিজ্ঞান। অর্থাৎ গবেষণাগারে আইভিএফ পদ্ধতির মাধ্যমে এই প্রাণীটিকে জন্মানো যেতে পারে।

বন্যপ্রাণী রক্ষায় কাজ করে এরকম একটি দাতব্য সংস্থা ডাব্লিউ ডাব্লিউ এফ- এর প্রধান কলিন বাটফিল্ড জানিয়েছেন, পরিস্থিতি আসলেই ভয়াবহ।

খুব বেশি বিপদের মধ্যে আছে এরকম প্রাণীকুলের একটি ভাকুইয়তা। এটি ডলফিন বা ছোট আকারের একটি তিমি, যা ১৯৫৮ সালে প্রথম দেখা গিয়েছিলো। একই রকম বিপন্ন প্রজাতির তালিকায় আছে আরও একটি গণ্ডার যার নাম জাভান।

এছাড়াও আরও যেসব প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার পথে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে সুমাত্রান গণ্ডার, কৃষ্ণ গণ্ডার, আমুর চিতাবাঘ, ফরেস্ট হাতি এবং বোর্নিও দ্বীপের ওরাংওটান। তার কোন কোনটির সংখ্যা হয়তো একশোরও কম বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

প্রকৃতি সংরক্ষণে কাজ করে এরকম আন্তর্জাতিক সংস্থা আই ইউ সি এন এসব প্রাণীর একটি তালিকা তৈরি করেছে। তার নাম দেওয়া হয়েছে রেড লিস্ট। এই তালিকায় উদ্ভিদ, স্তন্যপায়ী প্রাণী, পাখি, জলে ও স্থলে বাস করতে পারে এরকম উভচর প্রাণী, সামুদ্রিক প্রাণী ইত্যাদি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। সেগুলোকে আবার কোনটা কতো বেশি ঝুঁকির মুখে সেই তুলনা করে তাদেরকে একেকটা ভাগে ফেলা হয়েছে।

সংস্থাটি মনে করে, বর্তমানে ৫ হাজার ৫৮৩টি প্রাণী গুরুতর বিপদের মুখে রয়েছে। এদের মধ্যে কমপক্ষে ২৬টি প্রাণীকে ২০১৭ সালে বিপন্ন ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু তার আগের বছরে এই প্রাণীগুলোর ভবিষ্যত এতোটা শোচনীয় ছিলো না।

২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে আই ইউ সি এনের হিসেবে তখনও পর্যন্ত বেঁচেছিল ৩০টির মতো ভাকুইয়তা। আশঙ্কা করা হচ্ছে, আগামী এক দশকের মধ্যেই এই প্রাণীটি বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে।

সংস্থাটি বলছে, এসব প্রাণীর সংখ্যা কতো সেটা একেবারে নির্ভুলভাবে বলা কঠিন। তারপরেও যাতে প্রকৃত সংখ্যার খুব কাছাকাছি যাওয়া যায় সেজন্যে এই গণনায় নানা পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।

স্থলে প্রাণীদের ক্ষেত্রে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণবাদীরা যেসব বিষয় বিবেচনা করেন-

১. জিপিএস ট্র্যাকার

২. হত্যার আলামত

৩. পদচিহ্ন

৩. গাছপালায় আঁচড়

৪. বিষ্ঠা বা মল

এসব হিসেব করে তারা প্রাণীটির সংখ্যা গণনা করেন। কিন্তু এই গণনা সবসবময় বিতর্কের উর্ধ্বে থাকে না। এছাড়াও প্রত্যেক বছর নতুন নতুন প্রজাতি চোখে পড়ছে। ফলে ঠিক কতো সংখ্যক প্রাণী আসলেই বিপন্ন হওয়ার পথে সেটা হিসেব করা একটু জটিল। বিজ্ঞানীদের অনেকে বলেন, কোন কোন প্রাণীর অস্তিত্ব সম্পর্কে জানার আগেই সেগুলো বিলুপ্ত হয়ে যাবে।

ব্রাজিলের স্পিক্স ম্যাকাও বিলুপ্ত বলে ধরে নেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু ২০১৬ সালে এরকম একটি পাখি দেখা গিয়েছিল। তবে কোন প্রাণী কতোটা বিপন্ন সেটা বুঝতে গিয়ে শুধু তার সংখ্যাই বিবেচনা করা হয় না।

যেভাবে বুঝবেন কোন প্রাণী কতোটা বিপন্ন

এক্ষেত্রে যেসব বিষয় বিবেচনা করা হয়-

১. তারা কি শুধু একটি এলাকাতেই বাস করছে যে কারণে তাদের শুধুমাত্র হযতো একটি কারণেই হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে, নাকি তারা পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে?

২. তাদের প্রজনন চক্র কতোদিন ধরে স্থায়ী হয়? যথেষ্ট সংখ্যায় যদি প্রাণীটি না থাকে তাহলে কতো দ্রুত এটি আবার বংশবিস্তার করতে পারবে?

৩. প্রাণীটি যেসব হুমকির সম্মূখীন সেগুলো কতোটা ব্যাপক?

৪. প্রাণীটি জিনগতভাবে কতোটা বৈচিত্রপূর্ণ?

৫. তাদের বসতি কতোটা হুমকির মুখে?

তথ্যসূত্র: বিবিসি।

একে//এসএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি