করোনায় খাবার দিতে গিয়ে প্রেম! অতঃপর ভিক্ষুক তরুণীকে বিয়ে
প্রকাশিত : ১০:৫১, ২৫ মে ২০২০
অনিল-নীলমের মালা বদল। ছবি: সংগৃহীত
করোনা সংকটকালে মানবতার প্রতি হাত বাড়িয়েছে মানুষ। পাশে দাঁড়িয়ে অভয় দিয়েছেন, তেমনি জীবনসঙ্গী করেও নিয়েছেন। ভারতের লখনৌর কানপুরে অসহায়দের খাবার দিতে গিয়ে প্রেম হয় ভিক্ষুক তরুণীর সঙ্গে এক যুবকের। সেই প্রেমকে মূল্যায়ন করেছেন জীবনসঙ্গী করে।
তরুণী নীলম থাকতেন দাদা-বউদির কাছে। কারণ তাঁর বাবা-মা মারা গিয়েছেন। দাদা-বউদি অত্যাচার চালিয়ে তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন। এরপর বোনের খোঁজখবরও নেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেননি দাদা। অসহায় নীলম বাধ্য হয়ে ভিক্ষাবৃত্তি বেছে নেয়। কাকাদেব এলাকায় ভিক্ষুকদের সঙ্গে বসেই খাবার খেতেন তিনি।
এরই মধ্যে দেশজুড়ে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটে। সংক্রমণ ঠেকাতে জারি হয় লকডাউন। ফলে নীলমের দুর্ভোগ আরও চরম হয়ে ওঠে। যেটুকু খাবারের বন্দোবস্ত হতো, তাও এবার বন্ধ হয়ে যায়। বেঁচে থাকাটাই কঠিন হয়ে যায় নীলমের। এই ভয়ঙ্কর সময়ে শুরু হল নীলমের জীবনের নতুন অধ্যায়।
এই সময়ে কানপুরের বাসিন্দা লালতা প্রসাদের সঙ্গে রাস্তায় পরিচয় হয় নীলমের। তিনি তার গাড়ির চালক অনিলকে বলেন, নীলমকে যেন দৈনিক খাবার সরবরাহ করে। এর পাশাপাশি আশপাশের অভাবী মানুষদেরও যেন খাবার দেওয়া হয়।
সেই নির্দেশ মেনে ড্রাইভার অনিল প্রায় ৪৫ দিন ধরে নীলম সহ অন্য ভিক্ষুকদের খাবার সরবরাহ করে যাচ্ছিল। আর এই আসা-যাওয়ার ফলে নীলমের সঙ্গে সম্পর্ক গাঢ় হতে শুরু করে অনিলের।
এক পর্যায়ে এই সম্পর্কের খবর অনিলের বাবা জানতে পারেন। তারপর তিনি নীলমের সঙ্গে দেখা করে তার ইচ্ছার কথা জানতে চান। নীলমের এ বিয়েতে মত রয়েছে জানতে পেরে আর দেরি করেননি তিনি। লকডাউনের মধ্যেই বিয়ে দেন অনিল-নীলমের। সূত্র : এনডিটিভি
এমন ঘটনা রূপকথাকেও হার মানায়। অনিল-নীলমের দাম্পত্য জীবন যেন পরম সুখের হয় এই কামনাই রইল সবার থেকে।
এএইচ/