ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

তাঁতীকন্যা ফাতিমার গল্প

দিলরুবা আক্তার সুমি

প্রকাশিত : ১১:৩৭, ৮ মার্চ ২০২১

Ekushey Television Ltd.

তুরস্কের তাঁতিকন্যা ফাতিমা-ছোটবেলা থেকেই তার স্বপ্ন ছিল সে রাজরানি হবে, নিজের ধনসম্পদ ব্যয় করবে দুস্থ ও বঞ্চিতের কল্যাণে। এক গরিব তাঁতিকন্যার তুলনায় স্বপ্নটা অনেক বড় বৈ কি। কিন্তু সারাদিন কাপড় বুনতে বুনতে সে এ স্বপ্নই দেখে।

একদিন তার পীড়াপীড়িতে বাধ্য হয়ে বাবা তাকে নিয়ে সমুদ্রপথে যাত্রা করলেন। গন্তব্য মিশরের আলেকজান্দ্রিয়া। পথিমধ্যে ঝড়ের কবলে পড়ে নৌকাডুবি হলো। ফাতিমা হারিয়ে গেল তার বাবার কাছ থেকে। সমুদ্রতীরে এক বৃদ্ধ জেলে তাকে পেয়ে নিয়ে গেল নিজের বাড়িতে। সেখানে ফাতিমা শিখল দড়ি পাকিয়ে জাল বুনতে।

কিছুদিন পর আবার তার জীবনে নেমে এল দুর্বিপাক। জলদস্যুরা তাকে অপহরণ করে বিক্রি করলো বসরার এক সওদাগরের কাছে ক্রীতদাসী হিসেবে। সওদাগরের ছিলো জাভা থেকে কাঠ আমদানি করে নৌকা বানানোর ব্যবসা। সেখানে সে আয়ত্ত করল কাঠ চেরাই আর মাস্ত্তল বানানোর প্রক্রিয়া। ইতোমধ্যে কয়েকবার জাহাজডুবিতে সওদাগরের বেশ ক্ষয়ক্ষতি হলো, লোকজন তাকে ছেড়ে চলে গেল। তখন বুদ্ধিমতী ও বিশ্বস্ত ফাতিমা মনিবের পাশে দাঁড়াল।

মনিব তার আন্তরিকতায় মুগ্ধ হয়ে তাকে ব্যবসায়ে অংশীদার করলেন। ফাতিমা কাঠ আনতে সমুদ্র পথে জাভার উদ্দেশ্যে রওনা হলো। কিন্তু আবার ঝড়, আবারও নিরুদ্দেশে ভেসে যাওয়া। এবার ফাতিমা গিয়ে পড়ল চীন দেশে। জ্ঞান ফিরে সে দেখলো, মহাসমারোহে তাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে রাজপ্রাসাদে।

আসলে ঘটনা ছিলো এরকম-চীনদেশের রাজপুত্রের বিয়ে সম্পর্কে রাজ-জ্যোতিষী ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে, হবু কনে পূর্ণিমার রাতে সমুদ্র থেকে আসবে, যার ভাষা, চেহারা হবে আলাদা এবং সে তাঁবু বানাতে পারবে। পারিপার্শ্বিক সব মিলে গেল। এবার তাঁবু বানাতে হবে। ফাতিমা নেমে পড়ল তাঁবু বানাতে। কাপড় বোনার অভিজ্ঞতা থেকে কাপড় বানাল। জাল বানানোর অভিজ্ঞতা থেকে দড়ি বানাল। আর মাস্ত্তল বানানোর অভিজ্ঞতা থেকে বানাল তাঁবুর খুঁটি। তাঁবু তৈরি হলো। রাজা নিশ্চিত হলেন এই সে মেয়ে। পূরণ হলো ফাতিমার আজন্মলালিত স্বপ্ন।

আরকে//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি