ঢাকা, রবিবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

গরুর পেটে সোনার হার!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৫১, ১২ ডিসেম্বর ২০২১

হিন্দু ধর্মে গরুকে বলা হয় ‘পবিত্র মাতা’। এর দুধ থেকে গোবর পর্যন্ত সবকিছুই সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জীবনে অতি জরুরি। তাই ভক্তি ভরে গোমাতার পুজা করেন তারা। এমনই এক পুজাতে ভারতের উত্তর কর্ণাটকে ঘটেছে চরম এক বিপত্তি। পুজায় ব্যবহৃত সোনার হার গিলে ফেলেছে এক গোমাতা।

ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর কর্ণাটকের সিরসি তালুক গ্রামে। এই গ্রামে গরুকে লক্ষ্মীর প্রতিরূপ বলে মনে করা হয়। ফলে নিয়ম করে পুজাও হয় গোমাতার। পুজায় ফুল দিয়ে সাজানো হয় গোমাতাকে। শুধু তাই নয়, গলায় পরানো হয় সোনার হার। আবার পুজা শেষে খুলে নেওয়া হয় সেই হার। 

মাস খানেক আগে সেই রীতি মেনেই গোমাতার পুজো করছিলেন সিরসি তালুকের হিপানাহাল্লির বাসিন্দা শ্রীকান্ত হেগড়ে। শ্রীকান্তর গোয়ালে রয়েছে চার বছর বয়সি একটি গরু ও তার বাছুর।
 
নিয়ম মতো চার বছরের গরুটির পুজা চলছিল শ্রীকান্তর বাড়িতে। গরুটির গলায় পরানো হয়েছিল ২০ গ্রাম ওজনের একটি সোনার হার। পুজা শেষে হারটি খুলেও নেওয়া হয়। তবে তা খোলার পর রাখা হয়েছিল ফুল রাখার পাত্রে। সেই পাত্র থেকে ফুল খাওয়ার সময় হারটিকেও গিলে ফেলে গরুটি। 

যদিও গরুটি যে হার খেয়ে ফেলেছে তা প্রথমে বুঝতে পারেনি হেগড়ে পরিবার। পরে সকলেরই সন্দেহ করে গরুটিই হার খেয়ে ফেলেছে। এরপরই শুরু হয় দীর্ঘ প্রতীক্ষার পালা, নজর রাখা হচ্ছিল গরুটির দিকে, গোবর ঘেঁটে দেখা হচ্ছিল নিয়মিত। কিন্তু দিনের পর দিন চলে গেলেও হারের খোঁজ মিলছিলো না।

এভাবে মাস খানেক অতিবাহিত হওয়ার পর পশু চিকিৎসকের কাছে যায় পরিবারটি এবং বিস্তারিত জানায়। চিকিৎসক মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে পরীক্ষা করে জানান, সোনার হারটি গরুর পেটেই রয়েছে। গরুর আল্ট্রাসোনোগ্রাফি করে এই বিষয়ে নিশ্চিত হন চিকিৎসক।

এরপর অপারেশন করে গরুর পেট থেকে বের করা হয় সোনার হারটিকে। তবে ২০ গ্রামের হার গরু খেয়ে ফেললেও পেট থেকে বের করা হয় ১৮ গ্রামের হার। চিকিৎসক জানিয়েছেন, সোনার হারটির বাকি অংশ গরু পেটে রয়ে গিয়েছে। আপাতত তা খুঁজে পাওয়া কঠিন। 

জানা যায়, অপরেশনের ঝক্কি সামলে গোমাতা ধীরে ধীরে ভালো হয়ে উঠছে। 

সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
এমএম/এসএ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি