লাখ লাখ পিঁপড়ার হামলা, গ্রাম ছেড়ে পালাচ্ছে মানুষ!
প্রকাশিত : ১০:৫০, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২
লাল পিঁপড়ার হামলায় জেরবার মানুষ, ছাড়ছে গ্রাম। গ্রামের রাস্তা, ক্ষেত-খামার, নদী-জঙ্গল, এমনকী বাড়ির ভেতরে পিলপিল করছে পিঁপড়া। বসতে দিচ্ছে না, শুতে দিচ্ছে না। মানুষের পাশাপাশি পিঁপড়ার কামড়ে কষ্ট পাচ্ছে কুকুর-বিড়ালের মতো প্রাণীরাও। বাধ্য হয়ে ওই গ্রামে প্রাণী বিজ্ঞানীদের পাঠিয়েছে প্রশাসন। বিজ্ঞানীরা রানি পিঁপড়াকে খুঁজছে। আর এমন ভয়ানক ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের ওড়িশা রাজ্যে। আর ওড়িশা রাজ্যে পুরী জেলার অন্তর্গত গ্রাম ব্রাহ্মণসাহী। সেখানেই দুঃস্বপ্ন হয়ে উঠেছে পিঁপড়া!
স্থানীয়দের বক্তব্য, কোথাও দু’দণ্ড দাঁড়ানো বা বসার উপায় নেই। সঙ্গে সঙ্গে হাজির হচ্ছে শয়ে শয়ে, হাজারে হাজারে পিঁপড়ার দল। কামড়ে জ্বলে যাচ্ছে গা-হাত-পা। ফুলে উঠছে শরীরে বিভিন্ন জায়গা। জানা গিয়েছে সব মিলিয়ে পিঁপড়ার পরিমাণ নাকি কয়েক লাখ। কিন্তু হঠাৎ এমনটা হল কেন?
গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন, সম্প্রতি বন্যায় ডোবে গ্রাম। এরপর থেকেই শুরু হয়েছে পিঁপড়া সংক্রান্ত যন্ত্রণা। বাধ্য হয়ে গ্রাম ছেড়েছে কয়েকটি পরিবার। এখনও পর্যন্ত তিনটি পরিবার লাল পিঁপড়ের হামলার কারণে অন্য গ্রামে আত্মীয়দের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।
পিঁপড়ার হামলায় ভিটেছড়া লোকনাথ দাশ বলেন, “কোনওদিন এ জিনিস দেখিনি। পিঁপড়ার হামলায় খেতে পারছি না, ভাল করে ঘুমোতে পারছি না, ছোটদের পড়াশুনো লাটে উঠছে।”
ব্রাহ্মণসাহীর ‘লাল ফৌজের’ হামলা রুখতে সেখানে হাজির হয়েছেন ওড়িশার কৃষি ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। ইতোমধ্যে প্রাথমিক কাজ সেরেছেন তারা।
প্রাণী বিজ্ঞানী সঞ্জয় মোহান্তি বলেন, “নদীর ধার ও ঝোপজঙ্গলে ছিল এই লাল পিঁপড়া। বন্যার ওই এলাকা ডুবে যাওয়ায় লোকালয় ঢুকে পড়েছে। তার ফলেই বিপত্তি। কোন পথ ধরে গ্রামের ভেতরে ঢুকছে পিঁপড়ার দল, তা খোঁজ করা হচ্ছে। সেটি পাওয়া গেলেই পেস্টিসাইডের ব্যবহারে তাদের গতিবিধি রুখে দেওয়া যাবে। রানি পিঁপড়ের খোঁজ করা হচ্ছে। তাকে খতম করতে পারলেই বাকি পিঁপড়ার গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।”
সূত্রঃ সংবাদ প্রতিদিন
আরএমএ