ঢাকা, সোমবার   ৩১ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

ঘোড়ার বেশি নাক ডাকা মানে বেশি ভালো থাকা  

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:৪৫, ১৪ জুলাই ২০১৮ | আপডেট: ২০:১৮, ১৪ জুলাই ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

ঘোড়ার নাক ডাকা নিয়ে এর আগে গবেষকদের খুব একটা ভাবনা চিন্তা না থাকলেও এখন তারা এ নিয়ে কাজ করছেন। ইতিমধ্যে একটি গবেষনাও করে ফেলেছেন। গবেষণা থেকে প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী তাদের দাবি, যে ঘোড়া যত ভালো থাকে সে ততো বেশি নাক ডাকে।

ফ্রান্সের একদল গবেষক বলছেন, একটি ঘোড়া তার নাক দিয়ে অন্তত তিন ধরণের শব্দ বের করতে পারে। যখন সে আস্তে এবং কম আওয়াজের শব্দ বের করে তার মানে সে নতুন কোন কিছুর সম্মূখীন হচ্ছে। নতুন একটি পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নিচ্ছে অথবা বিপদের কোন গন্ধ পাচ্ছে। এ অবস্থায় ঘোড়াটি সাবধান থাকে।

আর দীর্ঘ সময় এবং আওয়াজের নাক ডাকার অর্থ হচ্ছে, সে ভালো আছে। ভালো পরিবেশে আছে সে আর সেই ঐ সময়টিকে উপভোগ করছে। ঘোড়া আর এক সাধারণ ধরণের নাক ডাকে। এটার তেমন বিশেষ কোন অর্থ বহন করে না।

যেভাবে গবেষণা করা হয়   

গবেষণার জন্য, বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে থাকা ঘোড়া এবং প্রাকৃতিক পরিবেশে থাকা ঘোড়াদের নেওয়া হয়। প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে থাকা ঘোড়াদের সপ্তাহে চার থেকে ১২ ঘণ্টা রাইড করানো হয়। আর অল্প সময় তাদেরকে ঘাস জমি বা অন্য কোন প্রাকৃতিক পরিবেশে ছাড়া হতো।

পক্ষান্তরে প্রাকৃতিক পরিবেশে বেড়ে ওঠা ঘোড়াদের মাঝে মাঝে রাইডে নিয়ে যাওয়া হতো।

ফলাফল  

এই পরীক্ষা থেকে গবেষকেরা দেখলেন যে, প্রাকৃতিক পরিবেশ বা চারণভূমিতে থাকার সময় আস্তাবলে থাকার চেয়ে ঘোড়াগুলো বেশি নাক ডাকতো। সাধারণত প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে থাকা ঘোড়াগুলো প্রাকৃতিক পরিবেশে গিয়ে ঘন্টায় গড়ে পাঁচ বার নাক ডাকে। অন্য ঘোড়াদের ক্ষেত্রে এই নাক ডাকার পরিমাণ প্রায় অর্ধেক। এছাড়াও চারণভূমিতে থাকার সময় কান সামনের দিকে রাখাসহ ইতিবাচক অঙ্গভঙ্গি দেখা যায় ঘোড়াগুলোর মধ্যে।  

গবেষকদলের প্রধান এবং ফ্রান্সের রেনেসাস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ম্যাথিল্ড স্টম্প বলেন, “ঘোড়াগুলো ভালো অবস্থায় থাকলেই বেশি নাক ডাকে। বিপরীত ক্ষেত্রে এই ফলাফলও ভিন্ন। অর্থ্যাত নাক ডাকার সাথে ঘোড়ার ইতিবাচক ব্যবহারের একটি সম্পর্ক আছে”।

সূত্রঃ বিবিসি

//এস এইচ এস//এসি   

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি