ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশের তলদেশে প্রাচীন সমুদ্রের সন্ধান!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:৪৬, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯

বাংলাদেশের তলদেশে প্রাচীন কালের এক সমুদ্রের সন্ধান পাওয়া গেছে। ইউনিভার্সিটি অব হায়দরাবাদের সেন্টার ফর আর্থ, ওসেন অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফেয়ারিক সায়েন্সের অধ্যাপক কে এস কৃষ্ণ এবং ন্যাশনাল ইনিস্টিটিউট অব ওসেনোগ্রাফির ডিএসটি ইন্সপায়ারের গবেষক ড. মোহাম্মদ ইসমাইলের যৌথ গবেষণায় এ তথ্য উঠে আসে।

তাদের এই গবেষণার ফলাফল কারেন্ট সায়েন্স সাময়িকীর সাম্প্রতিক সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি এ গবেষণায় মহাসাগরীয় পূর্ব বঙ্গোপসাগরের মহাদেশীয় ভাঙনের বিভিন্ন প্রক্রিয়া ও  জ্যামিতিক চিত্র ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

গবেষণা সূত্রে জানা যায়, সমুদ্র তলদেশের মাধ্যমে সামুদ্রিক শিলাগুলো কলকাতা ও উত্তরের রাজমহল-সিলেট, শিলং থেকে উপরের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। প্রকৃতপক্ষে এগুলো ছিলো বঙ্গোপসাগরের আদিশিলা। তবে এগুলো বিপুল পরিমাণে হিমালয় থেকে বয়ে আসা গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র নদ দিয়ে বয়ে আসা পলি ও অন্যান্য বর্জ্যের নিচে চাপা পড়ে যায়। এ প্রক্রিয়াতেই বঙ্গোপসাগরের আদি অঞ্চল ও একটি নতুন বিস্তৃত ভূখন্ড গড়ে ওঠে। বর্তমানে এই অঞ্চলটি বাংলাদেশের ভূখন্ডের অর্ন্তভূক্ত। বৈশ্বিক মহাসাগরের একটি অংশ এভাবেই পলিমাটির নিচে চাপা পড়ে যায় অথবা দ্বীপ হিসেবে টিকে থাকে। তবে প্রথমবারের মতো আবিস্কৃত বিস্তৃত ভূখন্ডের নিচে সামুদ্রিক শিলার অবস্থান পৃথিবীর জন্য একটি অনন্য ঘটনা।

এ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বহু বছর ধরে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ওসেনোগ্রাফিতে দেরাদুনের ও এনজিসি এবং হোস্টনের রাইস ইউনিভার্সিটি যৌথভাবে বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের গঠনাত্মক বিবর্তন নিয়ে গবেষণা করছিল। গবেষক দলের একটি অংশ ইউনিভার্সিটি অব হায়দরাবাদে চলে আসার পরও এ কার্যক্রম অব্যাহত ছিল।
এমএস/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি