ঢাকা, বুধবার   ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

মহাকাশে চিনির সন্ধান!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৫৭, ২১ নভেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ১৭:৩৪, ২১ নভেম্বর ২০১৯

মহাকাশে এই প্রথম চিনির (সুগার) হদিস মিলল। অবশ্য আমরা যে চিনি খাই সেই চিনি না। তবে একই গোত্রের ‘সুগার’। সেই সুগার গোত্রের তিনটি যৌগ ‘রাইবোজ’, ‘জাইলোজ’ ও ‘আরবিনোজ’য়ের হদিস মিলল দুটি উল্কাপিণ্ড ‘এনডব্লিউএ-৮০১’ এবং ‘মুর্চিসন’য়ে। উল্কা আসলে তৈরি হয় কোনো গ্রহাণু বা অ্যাস্টারয়েডের অংশ থেকে। 

উল্কাপিণ্ড দুটিতে এই ‘সুগার’ গোত্রের যৌগের সন্ধান মেলায় এ বিশ্বাসই জোরালো হলো যে, সুদূর অতীতে কোনো গ্রহাণু বা উল্কাপিণ্ডের সঙ্গে সংঘর্ষেই পৃথিবীতে সুগার গোত্রের আমদানি হয়েছিল। গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান জার্নাল ‘প্রসিডিংস অব ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস’য়ের সংখ্যায়।

ঐ গবেষণাপত্রে নাসার এক দল বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, এটি একটি অভিনব আবিষ্কার। কারণ এর আগে প্রাণ সৃষ্টির জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন তৈরির উপাদান অ্যামাইনো অ্যাসিডের সন্ধান মিলেছিল মহাকাশে। সেখানে পাওয়া গিয়েছিল প্রাণ সৃষ্টির আরো দুটি উপাদান ‘ডিএনএ’ এবং ‘আরএনএ’ তৈরির উপাদানও (নিউক্লিওবেসেস)।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, এ আবিষ্কারের ফলে আমাদের এই বিশ্বাস আরো জোরালো হলো যে ব্রহ্মাণ্ডের অন্যত্রও প্রাণের অস্তিত্ব সম্ভব। কারণ এই সুগার গোত্রের যৌগ ব্রহ্মাণ্ডের অন্যত্রও রয়েছে। এই সৌরমণ্ডলে যেহেতু এই যৌগের হদিস মেলায় গ্রহাণুর সঙ্গে সংঘর্ষেই যে এই ধরনের যৌগ পৃথিবীতে এসেছিল, সেই ধারণা আরো পাকাপাকি হলো। অর্থাত্ পৃথিবীতে প্রাণের বীজ যে বাইরে থেকেই এসেছিল ৪৫০-৫০০ কোটি বছর আগে, সেই তত্ত্বও জোরদার হলো। মহাকাশে চিনির সন্ধান মেলার পর অদূর ভবিষ্যতে পৃথিবীর বাইরে অন্য গ্রহেও প্রাণের অস্তিত্ব মেলার আশা আরো জোরালো হলো। 

সূত্র: আনন্দবাজার


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি