ঢাকা, শুক্রবার   ১১ অক্টোবর ২০২৪

রিজার্ভের অর্থ ফেরত আসার সম্ভাবনার দ্বার খুলল

দুলি মল্লিক

প্রকাশিত : ২০:৪৭, ১৬ জানুয়ারি ২০২৩ | আপডেট: ২১:৩২, ১৬ জানুয়ারি ২০২৩

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরিতে ফিলিপাইনের আরসিবিসি ব্যাংক উদ্দেশ্য-প্রণোদিতভাবে যুক্ত ছিলো। শুধু তাই নয়, আরসিবিসি ব্যাংকের সহযোগিতার কারনেই অর্থ চুরি সম্ভব হয়েছে- বাংলাদেশের দায়ের করা মামলা বাতিল চেয়ে ফিলিপাইনের ৬ আসামীর আবেদন নাকচ করে এমন রায় দিয়েছে নিউইয়র্ক আদালত। একই সঙ্গে ২ ফ্রেবুয়ারির মধ্যে তাদের মধ্যস্থতার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এর ফলে রির্জাভের অর্থ ফেরত আনার সম্ভাবনার দ্বার খুলল। 

২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্বের সবচেয়ে বড় সাইবার অপরাধের ঘটনা ঘটে। যার শিকার হয় বাংলাদেশ। হ্যাকাররা সুইফট সিস্টেম ব্যবহার করে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে রাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার সরিয়ে নেয়, ফিলিপাইনের রিজাল কমার্সিয়াল ব্যাংকে- আরসিবিসি’র চার অ্যাকাউন্টে জমা হয় ওই অর্থ।

এ ঘটনা পুরো বিশ্বে ব্যাপক আলোড়ন তোলে। অর্থ উদ্ধারে আইনী পথে এগোয় বাংলাদেশ। 

এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালের ৩১ জানুয়ারি মার্কিন আদালতে ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। মামলা বাতিলে উঠে পড়ে লাগে আসামিরা। এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলে বাতিলের আবেদন জানায় আরসিবিসি ব্যাংকসহ তিন প্রতিষ্ঠান ও তিন ব্যক্তি। নিউইয়র্কের আদালতে কয়েক দফায় শুনানি চলে। 

অবশেষে ১৩ জানুয়ারি আসামিদের আবেদন বাতিল করে বাংলাদেশকে মামলা চালিয়ে যাওয়ার রায় দেয় আদালত। এতে বলা হয়, অর্থ চুরিতে আরসিবিসির যোগসাজস স্পষ্ট।  

আগামী ২০ দিনের মধ্যে আসামিদের জবাব দাখিল ও একইসাথে মধ্যস্থতার আদেশ দিয়েছে আদালত।

এ অবস্থায় বিপুল পরিমান এই অর্থ ফেরত আসার নতুন সম্ভাবনা দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে দীর্ঘসূত্রিতার আশংকাও প্রকাশ করেছেন তারা। বলছেন, "আমাদের সামনে একটা আশার রাস্তা খোলা থাকলো যে, এটলিস্ট আমরা আইনগতভাবে এগোতে পারছি তাদের বিরুদ্ধে যারা আমাদের অর্থ চুরি করে নিয়ে গেছে।" 

আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী নিউইয়র্কে বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনী প্রতিষ্ঠান মধ্যস্থতা পর্যালোচনা করবে।

এসবি/   
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি