ঢাকা, শনিবার   ১২ অক্টোবর ২০২৪

থমকে গেছে লালপুর চরে অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠন (ভিডিও)

নবীউর রহমান পিপলু, নাটোর থেকে

প্রকাশিত : ১৪:৪২, ২২ জানুয়ারি ২০২৩

থমকে গেছে নাটোরের লালপুরে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার উদ্যোগ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ নানা সুবিধা রয়েছে এই চরে। দ্রুত এই এলাকায় অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণের দাবি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সাধারণ মানুষের।

২০১৫ সালে সংসদে কৃষিজমি বহির্ভূত চর এলাকায় অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের আলোচনায় উঠে আসে নাটোরের লালপুরের নাম। ১৬শ’ একর খাস জমিসহ ৩৪শ’ একর জমির ওপর এই অর্থনৈতিক অঞ্চল করার প্রস্তাব করা হয়। জমি কেনার জন্য বরাদ্দ করা হয় একশ’ কোটি টাকাও।

এরপর সম্ভাবনাময় অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু হলেও হঠাৎ করেই তা থমকে যায়। 

সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, নাটোর-ঈশ্বরদী-পাবনা এই অঞ্চল সিঙ্গাপুরের মতো একটা জায়গায় পরিণত হতো। নাটোরের ৩০-৪০ হাজার লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হতো।

জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, ভাল যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ এই এলাকায় অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের সব সুবিধা রয়েছে। পদ্মার চরে বেশি জমি কিনতে হবে না। নষ্ট হবে না কৃষি জমিও।

লালপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইছাহাক আলী বলেন, “এটা সবচেয়ে সম্ভাবনাময় এবং সবচেয়ে সাশ্রয়ী। এখানে খাস জমি, অকৃষিজমি, চর অঞ্চলে এই স্থাপনাটা নির্মিত হবে। এখানে শুধু স্ট্রাকচার নির্মাণ করতে হবে।”

পদ্মার চরে অর্থনৈতিক অঞ্চল করা হলে উপকৃত হবে নাটোরসহ আশেপাশের আরও কয়েকটি জেলা।

স্থানীয়রা জানান, অর্থনৈতিক জোন হলে আমাদের এলাকার অনেক উন্নয়ন হতো। হঠাৎ করেই সেই কাজটি বন্ধ হয়ে গেছে। অনেকেরই কর্মসংস্থানের সুযোগ হতো, আমরা সুখে-শান্তিতে দিন যাপন করতে পারতাম।

বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চলের বর্তমান চেয়ারম্যানের পরিদর্শনের পর বিষয়টি আরও গতি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন জেলা প্রশাসক।

নাটোর জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, “সেখানে নদী পথেরও ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। আশা করছি, বর্তমান চেয়ারম্যান স্বশরীরে আসবেন।”

জটিলতা কেটে শিগগিরই গতি পাবে সম্ভাবনাময় অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের কাজ, এমনটাই প্রত্যাশা নাটোরবাসীর।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি