ক্রেতা-দর্শনার্থীর ভিড়ে মুখর ইউএস ট্রেড শো
প্রকাশিত : ১৫:১২, ৩ মার্চ ২০১৮ | আপডেট: ১৬:৪৩, ৩ মার্চ ২০১৮
তিন দিনব্যাপী ২৫মত ইউএস ট্রেড শো ২০১৮ শেষ হচ্ছে আজ শনিবার রাত ৮ টায়। আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ (অ্যামচ্যাম) ও ঢাকার মার্কিন দূতাবাস আয়োজিত ২৫তম ট্রেড শো শুরু হয় ১ মার্চ। ট্রেড শোতে ৪১টি প্রতিষ্ঠান তাদের তৈরি বিভিন্ন পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করছে। প্রদর্শনীর প্রবেশ মূল্য ৩০ টাকা। তবে ইউনিফর্মধারী স্কুল শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে প্রবেশের সুযোগ রয়েছে। শো সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত।
বিগত বছরগুলোর মতোই এবারও সাড়া জাগিয়ে শেষ হচ্ছে ইউএস ট্রেড শো। রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁয়ে অনুষ্ঠিত তিন দিনব্যাপী শো’র শেষ দিনে ছিল আজ। সকাল থেকেই ক্রেতা দর্শণার্থীর ভিড়ে মুখর হয়ে উঠে মেলা প্রাঙ্গন। ক্রেতাদের সাড়া পেয়ে খুশি বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো। বিকালে ক্রেতা দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করছে বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো।
প্রোক্টর এন্ড গ্যাম্বল, পেপসিকো, কোকাকোলা, এইচপি, ডেল, কসমেটিকস্, জুতো, আধুনিক রং মেশিন,খাদ্যপণ্যসহ যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি অর্ধশত বিখ্যাত কোম্পানি ও পরিবেশকরা তাদের পণ্য প্রদর্শন করছে এ মেলায়।
পাশাপাশি বাংলাদেশি কয়েকটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় এবং আমেরিকান দুতাবাসের পক্ষ থেকে দেশটিতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তির জন্য স্টল রাখা হয়েছে। ভর্তির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধারা বাংলাদেশে এসে আমেরিকান সেন্টারে শিক্ষার্থীদের ধারণা দিচ্ছে। আর কাউন্সিল বিভাগ ভিসা সহায়তা দিচ্ছে।
মেলার মধ্যেমে শিক্ষার্থীরা, বাজারে হাজারো নকল পণ্যের মধ্য থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের তৈরি আসল পণ্য সম্পর্কে যেমন ধারণা পাচ্ছেন দর্শনার্থীরা, তেমনি গ্রাহকদের সাথে সরাসরি যোগাযোগের সুযোগ পাচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলো। মেলার মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য উন্নয়ন হবে বলেও আশা প্রকাশ করছেন উদ্যোক্তারা।
মেলায় অংশনেওয়া এডুকেশন ইউএনএ এক বিপণনকর্মী বাকি বিল্লাহ একুশে টিভি অনলাইনকে বলেন, আমেরিকার নামকরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে উচ্চতর ডিগ্রি নিতে প্রয়োজনীয় তথ্য সহায়তা দিচ্ছি এর জন্য কোন খরচ নিচ্ছি না। শুধু সদস্য পদ নেওয়ার জন্য ৮শ’ টাকা নেওয়া হচ্ছে দুই বছরের জন্য। এর মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন সেমিনারের মাধ্যেমে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন পরার্মশ দিয়ে থাকি। রাজধানীতে তিন স্থানে আমাদের অফিস আছে। আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে আমরা ইউএসএ বৃত্তিসহ পড়ার সুযোগ নিশ্চিত করতে বিভিন্ন ব্যবস্থা করে থাকি।
স্কলার কসমেটিকসের বিপণনকর্মী জয়ীতা একুশে টিভি অনলাইনকে বলেন, বাজারের হাজারো যে নকল পণ্য তার মধ্যে আসলগুলোকে বা আমেরিকান টেকনোলজির পণ্যগুলো ভোক্তার কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমরা চেষ্টা করছি। বাংলাদেশে অ্যাডভান্স কোয়ালিটির যে পণ্যগুলো বা প্রসাধনীগুলো যেগুলো ব্যবহার করলে ত্বকের কোন ক্ষতি হয় না। সেগুলো আমরা তাদের দেখাতে চাচ্ছি। তারা দেখুক, জানুক, পরবর্তী সময়ে তাদের যাতে কিনতে অসুবিধা না হয়।
মেলায় আসা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদিয়া নামের এক দর্শনার্থী একুশে টিভি অনলাইনকে বলেন, বাজারে অনেক ধরনের প্রাসাধনী পণ্য রয়েছে। আমরা নকল, আসল চিনতে পারি না। এখানে আসে আসল পণ্য সর্ম্পকে ধারণা পাচ্ছি। ভাল লাগলে বা পছন্দ হলে কেনাকাটা করে নিয়ে।
/ এআর /
আরও পড়ুন