ঢাকা, শুক্রবার   ০৮ নভেম্বর ২০২৪

মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ কর্মকর্তা সম্মেলন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২৩:৩৯, ৩ মার্চ ২০১৮

বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এর উদ্যোগে এবং একোব (এসোসিয়েশন অব এন্টি মানি লন্ডারিং কমপ্লিয়েন্স অফিসার অফ ব্যাংক ইন বাংলাদেশ) এর সহযোগিতায় সকল তফসিলি ব্যাংকসমূহের `প্রধান মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ পরিপালন কর্মকর্তা সম্মেলন-২০১৮ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়েছে।

শনিবার (০২ মার্চ) কক্সবাজারের রয়েল টিউলিপ সী পার্ল বীচ রিসোর্টে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এবং বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট এর প্রধান জনাব আবু হেনা মোঃ রাজী হাসান প্রধান অতিথি হিসেবে এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।

এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ ব্যংকের নির্বাহী পরিচালক এবং বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট এর উপপ্রধান জনাব মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জোদ্দার, বাংলাদেশ ব্যংকের চট্টগ্রাম অফিসের নির্বাহী পরিচালক জনাব মোহাঃ হুমায়ুন কবির এবং অতিথি হিসেবে বিএফআইইউ এর পরামর্শক জনাব দেবপ্রসাদ দেবনাথ উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএফআইইউ এর উপ-মহাব্যবস্থাপক জনাব এবিএম জহুরুল হুদা। সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন বিএফআইইউ এর উপমহাব্যবস্থাপক জনাব মোঃ শওকাতুল আলম।

এছাড়া অনুষ্ঠানে একোব এর চেয়ারম্যান জনাব মোহাম্মদ বোরহানউদ্দিন এবং এসোসিয়েশন অব ব্যাংকারস বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান জনাব সৈয়দ মাহবুব রহমান শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন। এ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সকল তফসিলি ব্যাংকসমূহের প্রধান ও উপ প্রধান মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ পরিপালন কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এবং বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট এর প্রধান জনাব আবু হেনা মোঃ রাজী হাসান বলেন, বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল একটি দেশের অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে ব্যাংক। দেশের অভ্যন্তরীন ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সিংহভাগ সম্পাদিত হয় ব্যাংকের মাধ্যমে যা আমাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে।

তিনি বলেন, আর্থিক খাতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে ব্যাংকসমূহ আমাদের মুদ্রা বাজারের স্থিতিশীলতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। এছাড়াও ব্যাংকিং খাতের মাধ্যমে সাধারণ জনগনের কাছ থেকে মূলধন গৃহীত হয়ে উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ হয় যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখে। এ কারণে একটি অপরাধ মুক্ত, স্থিতিশীল ও দক্ষ ব্যাংকিং ব্যবস্থা বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, যথাযথ নীতি ও রেগুলেটরী কাঠামো প্রণয়নের মাধ্যমে আর্থিক খাতের সার্বিক উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থানের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনসহ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর টেকসই দারিদ্র বিমোচনের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ/সংস্থা একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। আর এই অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় একটি দেশের মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ ব্যবস্থা একটি গুরুত্বপূর্ণ মানদন্ড হিসেবে কাজ করে।

মানিলন্ডারিং এর মাধ্যমে দেশ থেকে অর্থ পাচার আর্থিক খাতের সবচেয়ে বড় অপরাধ যা দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করে। অন্যদিকে সন্ত্রাসবাদী কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হয় যা অন্যান্য অপরাধকে বর্ধিত মাত্রায় প্রভাবিত করে। ফলাফলস্বরূপ দেশের মানুষ তার সম্পদের অধিকার হতে বঞ্চিত হয়। পাশাপাশি দেশের সামগ্রিক উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় বিনিয়োগের অভাবে অর্থনৈতিক উন্নতি বাধাগ্রস্ত হয়। এ কারনে অর্থ পাচার বা সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ আমাদের মত উন্নয়নশীল দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

অনুষ্ঠানের সভাপতি বিএফআইইউ এর উপ-মহাব্যবস্থাপক জনাব এবিএম জহুরুল হুদা বলেন, সম্মেলন হতে অর্জিত জ্ঞান মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধের কাঠামো উন্নয়নে কাজে লাগবে মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং কোন ব্যাংক যেন মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়নের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত না হতে পারে সে বিষয়ে সচেষ্ট থাকতে বলেন। এছাড়া পারস্পরিক সমন্বয়ের ভিত্তিতে সকল শক্তি দিয়ে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন মোকাবেলার উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়নমুক্ত একটি সুসংহত আর্থিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার আহবান জানান।

এসি


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি