ব্যবসার নামে বাড়ছে অর্থ পাচার
প্রকাশিত : ১৩:১৫, ৫ মার্চ ২০১৮ | আপডেট: ১৩:৪৮, ৫ মার্চ ২০১৮
ব্যবসার নাম করে ভুয়া সনদ ও ট্রেড লাইসেন্স ব্যবহার করে দেশ থেকে প্রতি বছর শত শত ডলার অর্থ পাচার হয়ে যাচ্ছে। আর আন্তর্জাতিক গবেষণা বলছে ৮০ শতাংশেরও বেশিও টাকা পাচার হচ্ছে ব্যবসার আড়ালে।
কক্সবাজারে বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে আয়োজিত বার্ষিক ক্যামেলকো কনফারেন্সে অংশ নিয়ে বাংলাদেশ শুল্ক-তদন্ত বিভাগের মহাপরিচালক ড. মঈনুল খান এ মন্তব্য করেন।
ব্যাংক ও কাস্টমস বিভাগের যৌথ উদ্যোগে মানি লন্ডারিংয়ের মতো অপরাধ একেবারে নির্মূল করা সম্ভব বলেও মনে করেন তিনি। ড. মঈনুল খান বলেন, অর্থ পাচারের মূল কারণ ব্যবসায়ীদের জালিয়াতি, মিথ্যা ঘোষণা ও আইডি গোপন।
অর্থ পাচারের একটি নমুনা তুলে ধরে ড. মঈনুল বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে ব্যাংকের ১৫ লক্ষ ডলার এলসি খোলা হলেও পণ্য আনা হয়েছে ১.৫ লাখ ডলারের। কিন্তু আমদানিকারক ব্যাংকে ভুয়া বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে পুরো ১৫ লাখ ডলার দেশের বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছে।
আবার একই আমদানিকারক একই এলসিতে আরো ১৩.৫ লাখ ডলার মূল্যের মাত্র ২০ কেজি ওজনের দুটো কাপড়ের কার্টুন এনেছেন শাহজালাল বিমানবন্দরে। উদ্দেশ্য এই অর্থও দেশের বাইরে প্রেরণ। মজার বিষয় হলো ২০ কেজি ওজনের কাপড়ের মূল্য হবে মাত্র ২ লাখ টাকার মতো। অথচ এর বিনিময়ে অর্থ গেছে কোটি কোটি টাকা। ভুয়া ডকুমেন্ট তৈরি করে এই ডলার পাচারের চেষ্টা পরবর্তীতে শুল্ক বিভাগ উদঘাটন করলো। সেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকও শুল্ক বিভাগকে সহায়তা করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এমজে/
আরও পড়ুন