দোহা রাউন্ডের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে অনেক সমস্যার সমাধান হবে
প্রকাশিত : ২৩:০৭, ২০ মার্চ ২০১৮
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ডব্লিউটিও-এর দোহা রাউন্ডে গৃহীত সিদ্ধান্ত সমুহ বাস্তবায়িত হলে বিশ্ববাণিজ্য ক্ষেত্রে অনেক সমস্যার সমাধান হবে। এলডিসি ভুক্ত দেশগুলোকে ডব্লিউটিও-এর সিদ্ধান্ত মোতাবেক যে সকল সুযোগ-সুবিধা দেয়ার কথা, সেগুলো সকল উন্নত দেশ দিচ্ছে না। ডব্লিউটিও-কে কার্যকর করতে দোহা মিনিস্টিরিয়াল কনফারেন্সে গৃহীত সকল সিদ্ধান্তের পূর্ণ বাস্তবায়ন প্রয়োজন।
আজ মঙ্গলবার (২০ মার্চ) ভারতের নয়াদিল্লীতে অনুষ্ঠিত ইনফরমাল ডব্লিউটিও মিনিস্টেরিয়াল মিটিং এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী সুরেশ প্রুভু`র সভাপতিত্বে বাণিজ্যমন্ত্রীদের এ মিটিং-এ ইউরোপিয়ন ইউনিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, জাপান, কানাডা, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, ভিয়েতনামসহ বিশ্বেরর ৫৩টি দেশের বাণিজ্যমন্ত্রী অথবা তাদের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত থেকে তাদের মতামত প্রদান করেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, হংকং, বালী এবং নাইরোবিতে অনুষ্ঠিত মিনিস্টেরিয়াল কনফারেন্স গুলোও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ডব্লিউটিও-কে কার্যকর করতে নতুন করে ভাবতে হবে। নতুন কোন সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে পূর্বের সিদ্ধান্ত সমুহ বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর বাণিজ্য সক্ষমতা সীমিত, ক্রমেই পিছিয়ে পরছে রফতানি বাণিজ্যে। রফতানি বাণিজ্যে এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর অবদান শতকরা একভাগের নিচে। দারিদ্র্য বিমোচন ও শিল্পায়নের জন্য এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর খাদ্য নিরাপত্তা, প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অবদান রাখার সুযোগ দেয়া প্রয়োজন।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে প্রবেশ করেছে। সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে ২০২৭ সাল থেকে উন্নয়নশীল দেশের যাত্রা শুরু করবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল মধ্যআয়ের বাংলাদেশ গঠনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। এখন তা বাস্তব। উন্নয়নশীল দেশের জন্য যে সকল চ্যালেঞ্জ রয়েছে বাংলাদেশ সেগুলো মোকাবেলা করতে সক্ষম।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ইউরোপিয়ন ইউনিয়নের দেয়া এভ্রিথিংস বাট আর্মস এর আওতায় বাংলাদেশকে দেয়া ডিউটি ফ্রি ও কোটা ফ্রি বাণিজ্য সুবিধা বাংলাদেশকে অনেক সহায়তা প্রদান করেছে। এর ফলে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে অনেক এগিয়ে গেছে। এজন্য বাংলাদেশ ইউরোপিয়ন ইউনিয়নের প্রতি কৃতজ্ঞ। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের উন্নয়নের রোল মডেল।
তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল মধ্য আয়ের বাংলাদেশে ২০২১ সালের মধ্যে মানুষের মাথাপিছু আয় হবে ২ হাজার মার্কিন ডলার হবে, যা ২০১১ সালে ছিল মাত্র ৭৫৫ মার্কিন ডলার। দারিদ্র্যসীমা ৪০ শতাংশ থেকে নেমে আসবে ১৫ শতাংশে। রফতানি বাণিজ্যে বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। ডব্লিউটিও-র বিগত মিনিস্টিরেয়িাল কনফারেন্সে এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর জন্য ডিউটি ফ্রি-কোটা ফ্রি বাণিজ্য সুবিধা, প্রিফারেন্সিয়াল রুলস অফ অরিজিন, সার্ভিস ওয়েভার, ট্রিফস চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করার মতো প্রতিশ্রুতিগুলোর বাস্তবায়ন এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর জন্য খুবই প্রয়োজন। অনেক ক্ষেত্রেই এগুলোর পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন হয়নি।
বাণিজ্যমন্ত্রী পরে কনফারেন্সের ওয়ে ফরওয়ার্ড ডেভেলপমেন্ট বিষয়ক আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের সময় যে পাঁচজন বক্তব্য রাখেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ তাদের মধ্যে অন্যতম।
এসি
আরও পড়ুন