ডিসেম্বরে শুরু হবে মিরসরাই গার্মেন্টস পার্কের কাজ [ভিডিও]
প্রকাশিত : ২০:১৬, ২১ মার্চ ২০১৮ | আপডেট: ২৩:০১, ২১ মার্চ ২০১৮
দেশের পোশাকখাতকে আরও এগিয়ে নিতে গার্মেন্টস পার্ক প্রতিষ্ঠায় চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ৫০০ একর জমির বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। চলতি বছরের ডিসেম্বরেই পার্কটির অবকাঠামো নির্মাণ কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) এবং বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফেকচারস এন্ড এক্সপোর্ট এ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) এর মধ্যে মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে গার্মেন্টস পার্ক প্রতিষ্ঠায় ৫০০ একর জমির লিজ গ্রহণে এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়।
বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমানের হাতে এই স্মারক তুলে দেন বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী। এসময় জমির মূল্য হিসেবে বিজিএমই`র পক্ষ থেকে ২৫ কোটি টাকার চেক দেওয়া হয় বেজাকে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মূখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, চলতি বছরের ডিসেম্বরেই মিরসরাইয়ে গার্মেন্টস পার্কের অবকাঠামো নির্মাণ কাজ শুরু হবে। আর ব্যবসায়ীরা যতো সাহসিকতার সঙ্গে এগিয়ে যাবেন দেশের অগ্রগতি ততোই দ্রুত হবে। আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি ব্যবসায়ীদের পাশে থেকে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে।
সভাপতির বক্তব্যে বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলেন, “পোশাক খাতকে আমরা ইতোমধ্যে ৮০০ একর জমি বরাদ্দ দিয়েছি। বিজিএমইএকে ৫০০ একর জমি বরাদ্দ দিতে আজ চুক্তি স্বাক্ষর হল। এছাড়া অনন্ত গ্রুপসহ পোশাক শিল্পের আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে ৩০০ একর জমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিজিএমইএ`র জন্য আরও ৭০০ একর জমি স্টক রাখা হয়েছে।”
তিনি বলেন, মিরসরাইয়ে এক একর জমি ব্যবহার উপযোগী করে গড়ে তুলতে বেজার প্রায় ৩ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। অথচ এর তিন ভাগের এক ভাগের চেয়েও কম মূল্যে বিজিএমইএ`কে আমরা জমি বরাদ্দ দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, অর্থনৈতিক অঞ্চলে কারও বিনিয়োগ যাতে আটকে না যায় সেদিকে আমরা লক্ষ্য রাখছি। ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ অর্থনৈতিক অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি নিরাপদ ও তা হবে প্রবৃদ্ধিমুখী।
বেজা চেয়ারম্যান বলেন, এরই মধ্যে এখানে ১৭ বিলিয়ন বিনিয়োগের প্রস্তাব পাওয়া গেছে। এখানে ২৫ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে। জাতীয় উন্নয়নের সাথে জড়িত এ প্রকল্পে প্রয়োজনে বিনিয়োগ আরো বাড়ানো হবে।
বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, মিরসরাইয়ে এখন আমাদের ৫০০ একর জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে হয়তো দেড় হাজার একর জমি বরাদ্দ দেওয়া হবে। বেজার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে আমাদের চাহিদার চেয়ে বেশিই বরাদ্দ দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, আমি জানতে চাইবো আমার মালিক ভাইয়েরা সেখানে কতোদিন পর থেকে গার্মেন্টেসের কাজ শুরু করতে পারবে। গার্মেন্টেসের কাজ শুরু হলে আমরা বলতে পারবো গার্মেন্টস পার্ক থেকে আমরা কবে উৎপাদনে যেতে পারবো। ভবিষ্যতে দেশের পোশাক খাতে ৫ কোটি লাকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, ব্যবসা বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ছাড়া এসডিজি উন্নয়ন সম্ভব নয়। এই অসম্ভবকে সম্ভব করতে হলে এবং ৫০ বিলিয়ন রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে ব্যবসায়ীদের প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। সরকার আমাদের নীতি সহায়তা দিলে আমরা সরকারকে সুন্দর একটি বাংলাদেশ উপহার দিতে পারবো।
এতে আরো বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য সচিব শুভাশিস বসু, বেজার পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিষয়ক নির্বাহী সদস্য ড. এম এমদাদুল হক, বিজিএমইএ সাবেক সভাপতি আতিকুল ইসলাম, আব্দুস সালাম মুর্শেদীসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
টিকে
আরও পড়ুন