সিআরআর এক শতাংশ কমছে : অর্থমন্ত্রী
প্রকাশিত : ১৫:৫৮, ১ এপ্রিল ২০১৮ | আপডেট: ১৬:১৩, ১ এপ্রিল ২০১৮
বাংলাদেশ ব্যাংকে তফসিলি ব্যাংকগুলোর নগদ জমার হার (সিআরআর) সাড়ে ৬ শতাংশ থেকে ১ শতাংশ কমিয়ে সাড়ে ৫ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যা আজ থেকে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংক (বিএবি) সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন। সভায় বিএবি সভাপতি ও এক্সিম ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার, আইএফআইসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান শিল্পপতি সালমান এফ রহমান, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি ও স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের চেয়ারম্যান কাজী আকরাম উদ্দীন আহমেদসহ অ্যাসোসিয়েশনের অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বিএবি দাবি করেছিল সিআরআর হার ৩ শতাংশ কমাতে। কিন্তু আমরা সব কিছু বিবেচনা করে, আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুস্মরণে বিভিন্ন মহল থেকে সকলের আলোচনা শুণে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আর তা হলো সিআরআর হার সাড়ে ৬ শতাংশ থেকে ১ শতাংশ কমিয়ে আনা হবে। সে অনুযায়ী এখন থেকে সিআরআর হার সাড়ে ৫ শতাংশ সংরক্ষণ করা যাবে। যেটা কার্যকর থাকবে আগামী ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত। তবে ডিসেম্বরের আগে জুনর মাসে তার প্রভাব পর্যালোচনা করা হবে।
তিনি জানান, জুন মাসে পর্যালোচনার ধারণাটা আমার না, এ ধারণাটা দিয়েছেন সালমান (সালমান এফ রহমান)। এ সময়ে যদি কিছু আরো সংযোজন বা বিয়োজন করতে হয় তা করা হবে।
এ সিদ্ধান্তের ফরে কোন মুদ্রাস্ফীতি হবে কীনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, নো, ইমপসিবল, মুদ্রাস্ফীতি হবেই না। দেশে এমন কিছু হয়নি যে মুদ্রাস্ফীতি হবে। এসময় ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং অ্যাক্ট সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেন, এটা এখন হবে না।
বিএবি সভাপতি ও এক্সিম ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, আপনারা জানেন ব্যাংকগুলো এখন তারল্য সংকটে ভুগছে। এ সংকটর নিরসনে নানা পদক্ষেপ নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। এরমধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সিআরআর থেকে যদি কিছু টাকা কমানো যায় কীনা। সেঅনুযায়ী আমরা দাবি করেছিলাম ৩ শতাংশ কমানোর। কিন্তু কমানো হয়েছে ১ শতাংশ। এ ১ শতাংশ কমানেরার ফলে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার মতো তহবিল পাওয়া যাবে। যা ব্যাংকগুলোর তারল্য সংকট দূর করতে সহায়ক হবে। এছাড়া বেসরকারি ব্যাংকগুলোর এ টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকে রেখে গত ১০ বছরে কোন লাভ হয়নি।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন দেশের একটি ব্যাংক ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আমানতকারিদের অনেকে টাকা উঠিয়ে নিয়েছে। সে সংকট আমরা কাটাতে চেষ্টা করেছি। তারপরও সংকট রয়েই গেছে। দেশে মূলত ইমভেস্ট হার বেড়ে যাওয়ার কারণে ব্যাংকে তারল্য সংকট দেখা দিয়েছে। এতে মুদ্রাস্ফীতি বাড়বে না বলেই তিনি জানান।
এর আগে গত শুক্রবার রাতে রাজধানীর গুলশানে ব্যাংকিং খাতের চলমান সঙ্কট নিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসে বিএবি। সেখানে ব্যাংক ঋণের সুদ হার আগামী ৩ থেকে ৪ মাসের মধ্যে আবারও এক অঙ্কে (সিঙ্গেল ডিজিট) নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দেয় বিএবি। এজন্য ব্যাংকগুলোর নগদ জমা সংরক্ষণ (ক্যাশ রিজার্ভ রেশিও বা সিআরআর) ৩ শতাংশ কমানো এবং ব্যাংকে সরকারি আমানতের ৫০ শতাংশ বেসরকারি ব্যাংকে রাখার দাবি জানায় অ্যাসোসিয়েশন।
আরকে// এআর
আরও পড়ুন