ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

করোনার কারণে কিছু মানুষ কর্মহীন হতে পারে: অর্থমন্ত্রী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:৩৮, ১১ জুন ২০২০ | আপডেট: ১৮:১৩, ১১ জুন ২০২০

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে দেশে কিছু মানুষ কর্মহীন হতে পারে। এ সংখ্যাটি ১৪ লাখের মতো হতে পারে। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় মন্ত্রী এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক’র (এডিবি) সাময়িক হিসাবের তথ্য তুলে ধরে এ আশঙ্কার কথা জানান। এর আগে বেলা ৩টায় অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তব্য শুরু করেন। অর্থমন্ত্রী তার বক্তব্যের বড় অংশ ডিজিটাল পদ্ধতিতে উপস্থাপন করেন।

দেশের কর্মসংস্থান সৃষ্টির বিষয়টি উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের সামনে জ্যমিতিক লভ্যাংশের সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে। এ কারণে শ্রমবাজারে বিপুল কর্মক্ষম জনশক্তির আগমন ঘটছে। কিন্তু একই সময়ে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে শ্রমিকের চাহিদাও কমে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবজনিত কারণে দেশব্যাপী সাধারণ ছুটি, কলকারখানা বন্ধ থাকা এবং সর্বোপরি ব্যবসা বাণিজ্য স্থবির থাকায় দেশে বিপুল সংখ্যক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ে। এডিবির সাময়িক হিসাব অনুযায়ী এ সংখ্যা ১৪ লাখে দাঁড়াতে পারে।’

করোনা ভাইরাসের অর্থনৈতিক প্রভাব কার্যকরভাবে মোকাবিলা করার জন্য সরকারের ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের কথা উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এই বৃহৎ প্রণোদনা ঘোষণার একটি প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে অর্থনৈতিক কার্যক্রমে গতিসঞ্চারের মাধ্যমে সাময়িক কর্মহীনতা দূরীকরণ। তৈরি পোশাকসহ রফতানিমুখী শিল্পের শ্রমিকদের বেতনভাতা দেওয়ার লক্ষ্যে আমরা ৫ হাজার কোটি টাকার একটি ঋণ তহবিল গঠন করেছি।

তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও সার্ভিস সেক্টরের জন্য ৩০ হাজার কোটি টাকার এবং কুটির শিল্পসহ এসএমই প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ২০ হাজার কোটি টাকার দুটি আলাদা স্বল্প সুদের ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল ঋণ সুবিধা চালু করেছি। বাংলাদেশ ব্যাংক প্রবর্তিত ইডিএফ’র পরিমাণ ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার থেকে ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করেছি এবং এ ঋণের সুদের হার কমিয়েছি। পাশাপাশি প্রি শিপমেন্ট ক্রেডিট রিফাইন্যান্স স্ত্রীম নামে ৫ হাজার কোটি টাকার একটি নতুন ঋণ সুবিধা চালু করেছি।’

এমএস/এসি

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি