ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

‘প্রস্তাবিত বাজেটের মূল লক্ষ্য জীবন রক্ষা ও জীবিকা সচল রাখা’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:১১, ২০ জুন ২০২০ | আপডেট: ১৪:১৬, ২০ জুলাই ২০২০

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, কোভিড-১৯ অতিমারির প্রেক্ষাপটে প্রবৃদ্ধি অর্জন সরকারের এখন বড় লক্ষ্য নয়। বরং জীবন রক্ষা ও জীবিকা সচল রাখাই বড় লক্ষ্য। সেটা করতে পারলে প্রবৃদ্ধি আসবে। তাই প্রস্তাবিত বাজেটে স্বাস্থ্য ও কৃষিখাত সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পেয়েছে।

শনিবার (২০ জুন) বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত বাজেট সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সিপিডি এই সংলাপের আয়োজন করে। সিপিডির চেয়ারম্যান রেহমান সোবহানের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল সংলাপে ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) অনারারি প্রেসিডেন্ট সাবের হোসেন চৌধুরী, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জাতীয় সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র(এমসিসিআই) সভাপতি ব্যারিস্টার নিহাদ কবির, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ,পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান হাবীব মনসুর, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি কামরান টি রহমান, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ড. মালেকা বানু, বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর, ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সায়মা হক প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুনের সঞ্চালনায় সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংস্থাটির সম্মানীয় ফেলো ড. মুস্তাফিজুর রহমান।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন,‘অনেকে বলছেন এবারের বাজেটে উচ্চ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা কেন দেয়া হলো। আমি বলতে চাই, আমরা প্রবৃদ্ধি অর্জনটাকে চলমান রাখতে চাই। তার মানে এই নয় যে, প্রবৃদ্ধি অর্জনটাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। আমরা এই অতিমারির মধ্যে জীবন রক্ষা ও জীবিকা সচল রাখাকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।’

এ বিষয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর নিদের্শনার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, আমরা এবার স্বাস্থ্যখাতকে সামনে নিয়ে এসেছি। স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন সর্বোচ্চ প্রাধিকার পাচ্ছে। পাশাপাশি মানুষের জীবকা সচল রাখতে কৃষি ও গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। উন্নতমানের বীজ,সারসহ অন্যান্য উপকরণকে কৃষকের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে।

উন্নয়ন সহযোগি সংস্থাগুলোর নিকট থেকে পর্যাপ্ত ঋণ সহায়তা পাওয়া যাবে জানিয়ে তিনি বলেন, গত এক দশক ধরে আমরা বড় বাজেট বাস্তবায়ন করে আসছি। আমাদের শ্রমশক্তি আছে। তাই করোনার প্রাদুর্ভাবকে সহনীয় পর্যায়ে রাখতে পারলে প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবার ওপর বাড়তি করারোপের বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন,‘করোনাকালীন সময়ে প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েছে। তাই এ সময়ে বাড়তি কর প্রত্যাহরের কথা বলছেন অধিকাংশই। আমি মনে করি অর্থমন্ত্রী বিষয়টি পুন:বিবেচনা করবেন।’

তিনি রুপপুর পারমানবিক কেন্দ্র বা পদ্মা সেতুর মত বড় প্রকল্পে বরাদ্দ রাখার প্রসঙ্গে বলেন, এসব প্রকল্পকে কেবল অবকাঠামোগত প্রকল্প হিসেবে দেখলে হবে না। এর সঙ্গে বড় ধরনের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বা প্রেক্ষাপট রয়েছে, যা মানুষের জীবনমান উন্নয়নে গভীর ভুমিকা রাখবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সংলাপে ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) অনারারি প্রেসিডেন্ট সাবের হোসেন চৌধুরী বাজেট বাস্তবায়নে আরো জবাবদিহিতা বাড়ানো এবং বাস্তবায়নের ফলে গুনগত প্রভাব কি হচ্ছে তা মূল্যায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

এমসিসিআই সভাপতি ব্যারিস্টার নিহাদ কবির প্রস্তাবিত বাজেটে পুুঁজিবাজারে অনিবন্ধিত কোম্পানির জন্য করপোরেট করহার হ্রাস ও ব্যাক্তি আয়ের করমূক্ত সীমা বৃদ্ধির প্রস্তাবের প্রশংসা করেন।

ড. মুস্তাফিজুর রহমান রাজস্ব ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা বৃদ্ধি ও রাজস্ব আয় বাড়ানোর জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে ঢেলে সাজানো বা আমূল সংস্কারের সুপারিশ করেন।

এসি

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি