ঢাকা, শুক্রবার   ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রণোদনা বাস্তবায়ন না করলে ব্যাংকের আমানত প্রত্যাহারের দাবি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:৪৭, ২৭ জুন ২০২০ | আপডেট: ১৯:৫২, ২৭ জুন ২০২০

বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই) আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে মানবিক,সামাজিক ও অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর বাজেট বলে আখ্যায়িত করেছে। একই সাথে সংগঠনটি ক্ষুদ্র ও মাঝারী শিল্পোদ্যোক্তাদের (এসএমই) জন্য সরকার ঘোষিত ২০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ যেসব ব্যাংক বাস্তবায়ন করবে না, সেসব ব্যাংক থেকে সরকারি আমানত তুলে নেয়ার প্রস্তাব করেছে।

শনিবার (২৭ জুন) রাজধানীর মতিঝিলে ফেডারেশন ভবনে প্রস্তাবিত বাজেট বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সংগঠনটির সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম।

কোভিড অতিমারির মধ্যে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার উপযোগি বাজেট পেশ করায় তিনি সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন,‘সরকার করোনা পরিস্থিতিতে অর্থনীতিতে গতি বাড়ানোর জন্য বৃহৎ অঙ্কের প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে।এর মধ্যে এসএমইর জন্য ২০ হাজার কোটি টাকার ঋণের ঘোষণাও রয়েছে। কিন্তু ব্যাংকগুলো এটি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করছে না বলে অভিযোগ আছে। এ পরিস্থিতিতে যেসব ব্যাংক প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন করবে না,সেখানে থাকা সরকারের আমানত তুলে নেওয়ার প্রস্তাব করছি।’

এর পাশাপাশি তিনি ওইসব ব্যাংকের উপর বাড়তি কর আরেপ এবং যেসব ব্যাংক এই প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন করবে,সেখানে সরকারের আমানত বাড়ানোর প্রস্তাব করেন। এছাড়া তিনি ২০ হাজার কোটি টাকার একটি অংশকে অনুদান হিসেবে দেয়ার দাবি জানান।

এফবিসিসিআই সভাপতি অভিযোগ করেন প্রণোদনা নিয়ে একটি শ্রেণি বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। তারল্য সংকটের কারণে ব্যাংকগুলো প্রণোদনার আওতায় ঋণের অর্থ দিতে পারছে না বলে বলা হলেও এর সঙ্গে একমত নন তিনি। 

তিনি বলেন, ব্যাংকে তারল্য বাড়ানোর জন্য সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। ফলে ঈদের আগেই ব্যাংকগুলোতে ৭০ হাজার কোটি টাকা নতুন তারল্য সৃষ্টি হয়েছে। ব্যাংককাররা আমাদের সঙ্গে (এফবিসিসিআই) সভায়ও বলেছে, কোন তারল্য সংকট নেই। তিনি বলেন, প্রণোদনা বাস্তবায়ন কেবল ব্যবসায়ীদের স্বার্থে নয়।এটির বাস্তবায়ন সার্বিকভাবে পুরো অর্থনীতিতে গেম চেঞ্জারের ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি দাবি করেন।

কোন ঋণখেলাপির পক্ষে এফবিসিসিআই ঋণের জন্য সুপারিশ করবে না বলেও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।
এসএমই খাতের জন্য প্রণোদনার আওতায় বরাদ্দ হওয়া ২০ হাজার কোটি টাকা ঋণের মধ্যে গত দুই মাসে ৫০ কোটি টাকা ছাড় হয়েছে বলে জানান তিনি।

ফাহিম ৩ বছরের এ্যাডভ্যান্স ট্যাক্স বিলুপ্ত করে ট্যাক্স,ভ্যাট ও কাস্টমস ট্যারিফ কমিয়ে সমন্বিত অটোমেটেড রাজস্ব কর পদ্ধতি চালুর প্রস্তাব করেন। এআইটি ৫ শতাংশের পরিবর্তে ৩ শতাংশ করার প্রস্তাব দেন।

এসি

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি