জিডিপিতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে স্বর্ণ বাণিজ্য
প্রকাশিত : ২২:২০, ১১ জুলাই ২০২০ | আপডেট: ২২:৩৩, ১১ জুলাই ২০২০
করোনাভাইরাস সংকটে স্থবির হয়ে পড়ছে ব্যবসা-বাণিজ্য, সব কিছুতেই মন্দা ভাব কিন্তু স্বর্ণের দাম বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। গেল বুধবার বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবান এই ধাতুর দাম ২০১১ সালের পর সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আউন্স (২.৪৩০৫ ভরি) স্বর্ণের দাম ওঠে ১ হাজার ৮০০ ডলারের বেশি, যা বাংলাদেশি টাকায় মূল্য প্রায় ১ লাখ ৫১ হাজার টাকা (১ ডলার= ৮৪ টাকা হিসেবে)।
এএফপি খবরে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক সময় সাড়ে ৮টার দিকে লন্ডনের স্বর্ণ ক্রয়-বিক্রয়ের বুলিয়ন মার্কেটে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ওঠে ১৮০০.৮৬ ডলার। যুক্তরাজ্যভিত্তিক ব্রোকারেজ ফার্ম অ্যাকটিভ ট্রেডসের প্রধান বিশ্লেষক কার্লো আলবার্তো দে ক্যাসা স্বর্ণের উঠতি দামে কিছুটা বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।
মার্কেট ডটকমের প্রধান বিশ্লেষক নিল উইলসনের মতে, চলমান সংকটে বিশ্বজুড়ে মুদ্রাস্ফীতি বাড়ার শঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা স্বর্ণের ওপর ঝুঁকছেন। সবশেষ ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে স্বর্ণের ১৮’শ ডলার ছাড়িয়েছিল। কিন্তু বছরটি শেষ হয়েছিল প্রতি আউন্স স্বর্ণ ১৫৬৫ ডলার মূল্যে।
একুশে টেলিভিশনের প্রতিনিধির সঙ্গে কথা হয় ডায়মন্ড ওয়ার্ন্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগারওয়ালের সঙ্গে তিনি জানান, স্বর্ণ বাণিজ্যও জিডিপিতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। এজন্য রপ্তানির সুযোগ ও বন্ড সুবিধা চান স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা।
এদিকে বিশ্ববাজারে সোনার দাম বাড়ায় বাংলাদেশের বাজারেও সোনার দাম বাড়ছে। বর্তমানে দেশে সবচেয়ে ভালো মানের সোনা প্রতি ভরি প্রায় ৭০ হাজার টাকা।
তবে এই খাতকে শিল্প হিসেবে দাঁড় করতে স্বর্ণ আমদানীসহ যাবতীয় লেনদেনের ডিজিটাল ডাটাবেজ তৈরীর পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের। মার্কিন-চীন বাণিজ্য দ্বন্দ্বের মধ্যে স্বর্ণের রিজার্ভ বাড়ালে অর্থনীতি শক্তিশালী হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এসইউএ/এসি
আরও পড়ুন