ভ্যাট আদায়ের লক্ষ্য অর্জন কঠিন হবে (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৪:০৬, ১৪ জুলাই ২০২০ | আপডেট: ১৪:১৪, ১৪ জুলাই ২০২০
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের আঘাতে এ মুহূর্তে দেশের সার্বিক অর্থনীতির প্রায় সব সূচকই নিম্নমুখী। বিভিন্ন দাতা সংস্থা ও দেশীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠানের হিসাবে এরই মধ্যে কর্মহীন ও হতদরিদ্র হয়ে পড়েছে কয়েক কোটি মানুষ। বিপর্যয় নেমে এসেছে শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্য খাতে। বন্ধ আছে সব ধরনের দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ।
এমন পরিস্থিতিতে চলতি অর্থ বছরে ভ্যাট আদায়ের লক্ষ্য অর্জন কঠিন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বলছেন, নতুন ভ্যাট আইন কার্যকর করা গেলে গত অর্থ বছরের তুলনায় আদায় বাড়তে পারে। ভ্যাট আইন কার্যকরে এনবিআর ও ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোকে একসাথে কাজ করার তাগিদ দিয়েছেন তারা।
চলতি অর্থবছরের ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট বাস্তবায়নে এনবিআরকে আদায় করতে হবে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব। এর মধ্যে ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা আসবে ভ্যাট থেকে।
বিদায়ী অর্থবছরে সংশোধিত ৩ লাখ ৫০০ কোটি টাকার রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য থাকলেও ৮৫ হাজার কোটি টাকা কম আদায় হয়েছে। ভ্যাট থেকে এসেছে ৮২ হাজার কোটি টাকা। করোনা সংকটে চলতি অর্থবছরেও ভ্যাটসহ রাজস্ব আদায়ে ঘাটতির আশঙ্কা বিশ্লেষকদের।
এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন ভুইয়া বলেন, সঠিক লক্ষমাত্রা অর্জন করতে হলে উপযুক্ত পরিবেশের প্রয়োজন হবে, ব্যবসা বাণিজ্য ভালোভাবে চলতে হবে ,
পিআরআই নির্বাহী পরিচালক ড. আহাসান এইচ মনসুর জানান আগামী অর্থবছরে হয়তো বা সর্বমোট ২ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহ হতে পারে।
২০১২ সালের ভ্যাট আইন এখনো বাস্তবায়ন না হওয়ায় ব্যবসায়ী ও এনবিআর দু’পক্ষেরই দায় দেখছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন আইনটি বাস্তবায়ন করা গেলে ভ্যাট আদায়ে খানিকটা গতি আসবে।
পিআরআই নির্বাহী পরিচারক ড. আহাসান এইচ মনসুর দাবি করে বলেন, এফবিসিসিআই এবং মাঠ পর্যায়ের এনবিআরের কর্মকর্তাদের কার্যকলাপের কারণেই এই ভ্যাট আইনটি বাস্তবায়ন করা যায়নি।
এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন ভুইয়া আরও জানান, ঐক্যমতের ভিত্তিতেই দুই বছর পিছিয়েছে। গতবছরের জুলাই থেকে বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
এ অবস্থায় সমন্বিতভাবেই আইনটি বাস্তবায়নের পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
এসইউ/এমবি
আরও পড়ুন