ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

শেয়ার কারসাজিতে সক্রিয় নানা চক্র (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:৩০, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ | আপডেট: ১৭:৩৪, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২০

ম্যাসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে শেয়ার কারসাজিতে সক্রিয় বেশ কয়েকটি চক্র। কোন শেয়ারের দাম কত উঠবে তা অনেকটা গ্যারান্টি দিয়ে বলে দিচ্ছে চক্রের সদস্যরা। 

বিশেষ করে জুয়াড়ি শেয়ার হিসেবে পরিচিত দুর্বলভিত্তিক কিছু কোম্পানি ঘিরে এরা বেশি সক্রিয়। আর না বুঝে এদের ফাঁদে পা দিয়ে সর্বশান্ত হচ্ছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। তবে শিগগিরই এই প্রতারকদের আইনের আওতায় আনার কথা জানিয়েছে বিএসিসি।

অনলাইনে পুঁজিবাজার বিশ্লেষণের নামে সরাসরি বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার বেচাকেনার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে চক্রের পক্ষ থেকে। আর প্রলুব্ধ করা হচ্ছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের, ছড়ানো হচ্ছে গুজবও। 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আছে এমন অসংখ্য গ্রুপ। হাজারও অনুসারীকে ব্যবহার করে যোগসাজশের মাধ্যমে শেয়ারের মূল্য নিয়ন্ত্রণ করে এরা।

তবে আইনজ্ঞরা বলছেন, প্রকাশ্যে বা গোপনে শেয়ার বেচাকেনার প্রচারণা চালানো আইনের সুষ্পষ্ট লঙ্ঘন ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

বিএসইসি প্যানেল ল-ইয়ার ব্যারিস্টার এএম মাসুম বলেন, যদি কোন ব্যক্তি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে রিউমার স্লেট করে শেয়ার প্রাইস মেনিপুলেট করবে, সেখানে স্পেসিফিক আইন সিক্যুরিটি এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স ১৯৬৯ এর ১৭-বি অ্যাপ্লাই হবে এবং সেকশন ২৪ অনুযায়ী তার ৫ বছরের শাস্তি হতে পারে। 

কেউ যদি সিএসইসি, এসইসি বা ডিএসইসি’র লোগো ব্যবহার করে তাহলেও কপি রাইট অ্যাক্ট ২০০০ অনুযায়ী সেকশন ২৮ অনুযায়ী ৪ বছরের শাস্তি এবং ২ লাখ টাকার জরিমানা হতে পারে। অনলাইনে শেয়ার কারসাজির বিষয়টি নজরে এসেছে পুঁজিবার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি’রও।

বিএসইসি কমিশনার ড. শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, যারা এই সমস্ত তথ্য-উপাত্ত দিচ্ছেন বা এসমস্ত গুঞ্জন সৃষ্টি করছেন, এদের বিরত রাখা সম্ভব না হয় তাহলে যত দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। লোভে পড়ে এসব চক্রের ফাঁদে না জড়াতে বিনিয়োগকারীদের প্রতি সতর্ক থাকার আহ্বান বিএসইসি’র।

এআই//আরকে

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি