ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ই-কমার্সে পেশাদারিত্বের অভাব (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:২১, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০

অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক পেইজ কিংবা ই-কমার্স সাইটগুলোতে পণ্য অর্ডার করে প্রতারিত হওয়া গ্রাহকের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ফলে এ খাতে কেনাকাটা জনপ্রিয় হলেও প্রতিষ্ঠানগুলোর পেশাদারিত্বের অভাব বেশ ভালোভাবেই ফুটে উঠছে। নাম সর্বস্ব প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি শীর্ষ স্থানীয় প্রায় সব প্রতিষ্ঠানের নামেই আছে প্রতারণার অভিযোগ। যার শিকার হচ্ছেন ক্রেতারা। 

আবার পণ্য বিক্রি করে হয়রানি শিকার হতে হচ্ছে অনলাইন প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনও বিক্রেতা ও ক্রেতার মধ্যে সম্পূর্ণ আস্থার সম্পর্ক তৈরি হয়নি। ব্যবসাটির প্রসারে ক্রেতা, বিক্রেতা এবং ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বিশ্বাসের জায়গা তৈরি করতে হবে। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অর্ডার দেয়া পণ্যটি না পাওয়া, ক্রেতার টাকা আটকে রাখা, প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে ফেলার মতো অভিযোগেরও শেষ নেই। ফেসবুকে একটি পেইজ খুলে অনেকেই ই-কমার্স ব্যবসায়ী। আবার নাম সর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের প্রতারণার শিকার হচ্ছেন ক্রেতারা। এসব নিয়ে প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করে হুমকি-ধামকির মুখে পড়তে হয়েছে অনেককেই। 

ভুক্তভোগী একজন ফোনে জানান, ‘অর্ডার করার পর হঠাৎ করে কোম্পানি জানায় মাল ডেলিভারি দিয়েছে। কিন্তু আদৌ আমার সাথে কোন ধরনের যোগাযোগ করা হয়নি।’

তবে ক্রেতারাও নানাভাবে প্রতারণা এবং হয়রানি করছেন বলে অভিযোগ আছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর। জানতে চাইলে দারাজের এমডি মুস্তাহিদল হক বলেন, ‘অনেক ক্রেতা পারফিউম অর্ডার দিয়ে হাতে পেলে অরিজিনাল পারফিউম বোতল থেকে বের করে নকলটা ভরে বলে আমি খারাপ পেয়েছি। এমনকি আর নিতে চায় না।’

তিনি বলেন, ‘অনলাইনে অর্ডার করার আগে মন দিয়ে প্রোডাক্ট ডেস্ক্রিপশন পড়ে নিতে হবে। কেননা, ছবিতে অনেক সময় পণ্য বড় কিংবা ছোট দেখায়, আবার অনেক সময় কালারের সমস্যা হয়। তাই, বিস্তারিত পড়ে অর্ডার করা উচিত।’

খাতটি দ্রুত সম্প্রসারণের ফলে কিছু সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, ‘আগের তুলনায় প্রতারণা বেড়েছে, একইসঙ্গে কিছু ঝামেলা তো আছেই। পাঁচ বছর আগেও যদি কোম্পানিগুলো সঠিক নিয়মে আগাত তাহলে আজকে সমস্যার সৃষ্টি হতো না।’ 

ব্যবসাটিকে টিকিয়ে রাখতে সেলার, বায়ার এবং ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আস্থার সম্পর্ক তৈরিতে কাজ করছে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)। 

প্রতিষ্ঠানটির সহ-সভাপতি মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, ‘আমরা পলিসি উন্নয়নে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, প্রতিযোগিতা কমিশন, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে আমরা কাজ করছি। ভবিষ্যতে যাতে করে এই ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় এবং ভোক্তারা আমাদের মেম্বার কোম্পানিগুলো থেকে সহজে কেনাকাটা করতে পারে সেই চেষ্টা চলছে।’

ই-ক্যাবের আশা, ক্রেতা এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বিশ্বাসের সম্পর্ক তৈরি হলে ভবিষ্যতে ই-কমার্স দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। 

এআই//এমবি


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি