দেশের ই-কমার্স খাতের উন্নতি (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৬:৪৫, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০
অনেকদূরই এগিয়েছে দেশের ই-কমার্স খাত। বিশেষ করে করোনা মহামারি শুরুর পর চাহিদা বেড়েছে অনলাইন বাজারের। ক্রেতাদের চাহিদামতো নিরবিচ্ছিন্ন পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে হিমশিম খাচ্ছে ব্যবসায়ীরা। গত ছয় মাসে দেশের ই-কমার্স খাতের সম্প্রসারণ বিগত ৫ বছরকে ছাড়িয়েছে।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই ধারা বজায় রাখতে ‘ডিজিটাল কমার্স নীতিমালার’ পাশাপাশি নতুন আইন জরুরি। আর ব্যবসায়ীদের সুরক্ষা ও সরকারি সহায়তা নিশ্চিত করতে সবাইকে এক ছাতার নিচে আনতে চায় অনলাইন ব্যবসায়ীদের সংগঠন ই-ক্যাব।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, করোনার এ সময়টাতে বেরিয়ে এসেছে এই ব্যবসার কিছু ফাঁক ফোকর। অনেকেই নিয়মকানুন না মেনে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ব্যবসা পরিচালনা করায় হ য ব র ল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য না থাকলেও লক্ষাধিক নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রায় ৪০টি ক্যাটাগরিতে ই-ক্যাবের সদস্য রয়েছে ১৩শ’র মতো।
সদস্যদের ঋণ, প্রণোদনা ও প্রশিক্ষণের মতো বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা প্রদান করে ই-ক্যাব। প্রতিষ্ঠানটির সহ-সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ই-কর্মাস বা অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসা করতে হলে ই-ক্যাবের মেম্বারশিপ নিতে হবে। এতে করে এ খাতের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান একই ছাতার আওতায় চলে আসবে। ফলে, একটা সুনির্দিষ্ট মাধ্যমে তাদেরকে সেবা ও সহযোগিতা করা যাবে।’
তবে সব প্রতিকূলতা কাটিয়ে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ই-কমার্স শক্ত ভিত্তি পাবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। জানতে চাইলে দারাজের এমডি মোস্তাহিদল হক বলেন, ‘৯০ শতাংশ পণ্যই অনলাইনে অর্ডার হয়। ইন্টারনেটের ব্যবহার যত বাড়বে অনলাইন ব্যবসা ততটাই এগিয়ে যাবে।’
তবে কিছু সমস্যা থাকলেও এ খাতকে এগিয়ে নিতে দ্রুত সমাধান করার আশ্বাস দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, ‘চলমান সংকট মূহূর্তে ই-কর্মাসের যে সম্প্রসারণ হয়েছে তা স্বাভাবিক অবস্থায় আরও ৫ বছরেও হতো না। আমরা এ খাতকে আরও এগিয়ে নিতে চাই।’
এআই//এমবি
আরও পড়ুন