প্রণোদনার দাবি বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৪:৪৫, ৫ অক্টোবর ২০২০
করোনাকালে ক্ষতির মুখে পড়ে ফুল চাষ ছেড়েছেন যশোরের গদখালী ও সাভারের বিরুলিয়ার ফুল চাষীরা। ফুল বাগানে এখন সবজিসহ অন্য ফসলের চাষ করছে তারা। নতুন করে আর ফুল চাষে সাহস পাচ্ছেন না চাষীরা। এ অবস্থায় প্রণোদনার দাবি বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির।
ফুলের রাজধানী নামেই পরিচিত যশোরের গদখালী। করোনা সংক্রমণের সাত মাসে পাল্টে গেছে এলাকার দৃশ্যপট। ঝিকরগাছা ও শার্শার ৭৫টি গ্রামের ৬৩০ হেক্টর জমিতে চাষ হতো নানা জাতের ফুল। এর সাথে জড়িত ৬ হাজারেরও বেশি কৃষক। করোনার ক্ষতিতে এখন ফুল বাগানে হচ্ছে সবজির আবাদ।
কৃষকরা জানান, গোলাপ, রজনী এবং বিভিন্ন ধরনের ফুলচাষ আমরা করি। অথচ করোনা আসার পর থেকে লচের কারণে এখন ধান-পাট, সবজি চাষ করা শুরু করেছি। অন্য আরেকজন কৃষক জানান, অর্থের অভাবে বাগান ঠিক করতে পারছি না। সরকার তো বাজেট ঠিকই দেয় কিন্তু তা আমাদের পর্যন্ত আর পৌঁছায় না।
এ পর্যন্ত এখাতে প্রায় ৫শ’ কোটি টাকারও বেশি ক্ষতি হয়েছে- এ হিসাব বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির। তাই সম্ভাবনাময় এ খাতকে বাঁচাতে প্রণোদনার দাবি উঠেছে।
বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির সভাপতি আব্দুর রহিম বলেন, ফুলচাষী এবং ব্যবসায়ীদের যদি ঋণের ব্যবস্থা করা যায় তাহলে সম্ভাবনাময় এই ফুল সেক্টর আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারে।
কৃষি বিভাগ বলছে, ক্ষতিগ্রস্ত ফুলচাষিদের তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
যশোর-ঝিকরগাছার কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকতা মো: মাহবুল আলম রনি বলেন, ঋণের কিস্তি যাতে ৬ মাস বা ১ বছর স্থগিত করে দেওয়া হয় তাদের এই দাবির প্রেক্ষিতে আমরা উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর সঙ্গে কথা বলেছি।
সাভারের বিরুলিয়ার গোলাপ গ্রামের চিত্রও একইরকম। প্রায় ৫০০ বিঘা জমিতে গোলাপ চাষ হলেও এখন লাখ লাখ গোলাপ কেটে ফেলে দিচ্ছে চাষীরা। তারা ঝুঁকছেন সবজি চাষে।
ফুলচাষীরা জানান, বহু টাকা লস, এক এক ক্ষেতে দুই থেকে চার লাখ টাকা পর্যন্ত লস হচ্ছে। এখন গোলাপ বিক্রি হচ্ছে না। তাই চিন্তা করেছি, গোলাপ ক্ষেত ভেঙে মরিচ ও আলু চাষ করবো।
করোনা সংক্রমণের পর থেকেই কমেছে ফুল বিক্রি, নেই বিয়ে, জন্মদিনসহ সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সরকারি অনুষ্ঠান। পাইকারি বাজার তাই ক্রেতাশূন্য। এ অবস্থায় ঘুরে দাঁড়াতে প্রণোদনা চান বিরুলিয়ার ফুলচাষীরা।
এএইচ/এসএ/
আরও পড়ুন