ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

বিশুদ্ধ পানি: বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ২শ’ মিলিয়ন ডলারের ঋণচুক্তি

আউয়াল চৌধুরী

প্রকাশিত : ২২:১১, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | আপডেট: ২২:০০, ৬ জানুয়ারি ২০২২

বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকার গ্রামাঞ্চলের ৩ দশমিক ৬ মিলিয়ন মানুষকে স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন সুবিধা দিতে ও প্রায় ৬ লাখ মানুষকে বিশুদ্ধ পানি পেতে সহায়তা দিতে আজ ২শ’ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

রুরাল ওয়াটার, স্যানিটেশন, হাইজিন (ডব্লিউএএসএই) ফর হিউম্যান ক্যাপিটাল ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পটি দেশের সিলেট, চট্টগ্রাম, রংপুর ও ময়মনসিংহের ৭৮টি উপজেলার গ্রামাঞ্চলের পানি ও স্যানিটেশন সেবা উন্নয়নে সহায়তা দেবে।

বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন ও বিশ্বব্যাংকের পক্ষে সংস্থাটির কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রকল্পটি অধিকতর স্বাস্থ্যসম্মত মডেল তৈরি, নিরাপদ স্যানিটেশনের জন্য মাটিতে গর্ত খুড়ে ল্যাট্রিন নির্মাণ এবং বড় ও ছোট নল দিয়ে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে সহায়তা দেবে।
প্রকল্পটিতে পানি ও স্যানিটেশন সুবিধার জন্য বাসা-বাড়ি ও উদ্যোক্তা উভয়ের জন্য মাইক্রোক্রেডিটের ব্যবস্থা রাখা হবে।

প্রকল্পটির আওতায় হত-দরিদ্র প্রায় ৩ লাখ ৯ হাজার মানুষের বাড়িতে সম্পূর্ণ ভর্তুকি প্রদান করে শৌচাগার নির্মাণ করে দেয়া হবে। পাশাপাশি পানি প্রায় ৩ হাজার জনগোষ্ঠীর জন্য পানির পাইপ নির্মাণ করা হবে।

ইআরডি সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন বলেন, ‘বিগত কয়েক দশকে বাংলাদেশ প্রশংসনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে। দেশের প্রায় সব এলাকাতেই প্রয়োজনীয় পানি সরবরাহ নিশ্চিত এবং খোলা স্থানে মলত্যাগ বন্ধ হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘এই বাড়তি বিনিয়োগ দেশের শহর ও গ্রামগুলোতে বসবাসরত সকল নাগরিকের জন্য নিরাপদ ও অপেক্ষাকৃত বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশন সুবিধা নিশ্চিত করবে। আর এভাবে এ প্রকল্প বাংলাদেশকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়তা করবে।’

বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বলেন, ‘নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও পরিচ্ছন্নতার অভ্যাস মানুষের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার প্রধান উপায়।’

তিনি আরো বলেন, ‘প্রকল্পটি মানুষের বাড়ি ও জনসমাগম স্থানে মানসম্মত পানি সরবরাহ ও পরিচ্ছন্ন সেবা প্রদানের পাশাপাশি হাত-ধোয়ার প্রচারণা চালিয়ে নাগরিকদের রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করবে এবং কোভিড-১৯ ও অন্যান্য সংক্রমণ রোগ থেকে সুরক্ষা দেবে।

প্রকল্পটি মার্কেট ও বাস-স্টেশনের মতো জনকীর্ণ স্থানগুলোতে প্রায় ৩১২টি পাবলিক টয়লেট ও ২ হাজার ৫১৪টি হাত-ধোয়া কেন্দ্র স্থাপন করবে। প্রায় ১ হাজার ২৮০টি কমিউনিটি ক্লিনিকে রোগি ও অন্যান্যদের জন্য নতুন ও পুনঃসংস্কারকৃত ফ্যাসিলিটি থাকবে। প্রকল্পটি জরুরি পানির চাহিদা মেটাতে এবং কোভিড-১৯ মহামারি ঠেকাতে দ্রুত ও সময়মতো প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে। বিশ্বব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের এই ঋণটির মেয়াদ ৫ বছরের রেয়াতকালসহ ৩০ বছর।

বিশ্বব্যাংক স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে সহায়তাকারী প্রথম উন্নয়ন অংশীদার। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থাটি ৩৩.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অনুদান, সুদমুক্ত ঋণ ও বিশেষ ছাড়কৃত ঋণ দিয়েছে।

এসি
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি